আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে নাটোরের সিংড়ায় সাবেক ইউপি সদস্য মোজাফর হোসেন মোজাইকে (৪০) কুপিয়ে ও তার বড় ভাই হাছেন আলীর (৫০) ডান পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

এ সময় অপর ছোট ভাইয়ের ডান হাতের আঙুল কেটে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে সিংড়া উপজেলার ২ নম্বর ডাহিয়া ইউনিয়নের চলনবিল অধ্যুষিত (সর্বহারা এলাকা হিসেবে পরিচিত) বড়গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোজাফর হোসেন (মোজাই ডাকাত) ও হাছেন আলী বড়গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চলনবিলের প্রত্যন্ত ডাহিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোজাফর হোসেনের (মোজাই ডাকাত) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল বর্তমান ইউপি সদস্য সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুস আলীর। সম্প্রতি এ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচনে মোজাই ডাকাত হেরে যাওয়ায় দুজনের বিরোধ চরমে পৌঁছে। বিরোধকারীরা পরস্পর আপন চাচাতো ভাই।

শুক্রবার ভোরে ইউনুস আলীর লোকজন মোজাফর হোসেন ও তার দুই ভাই হাছেন আলী এবং মহসিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মোজাফর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় আসমা বেগমের বাড়ির বারান্দায় ফেলে রেখে যায়। এ সময় অপর দুই সহোদর হাছেন আলীর ডান পা এবং মহসিনের হাতের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতিপক্ষরা। সকালে হাছেন আলীকে হাসপাতালে আনার সময় তার মৃত্যু হয়। অপর আহত ছোট ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নিহত মোজাফ্ফরের স্ত্রী রাবিয়া বেগম জানান, গভীর রাতে ইউনুছ আলী ও তার লোকজন তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার দুই ভাই তার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। নির্বাচনের পর থেকেই তার স্বামীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএম আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমান ইউপি সদস্য ইউনুস আলীর সঙ্গে মোজাফর হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে কী কারণে এ হত্যাকা- ঘটেছে তদন্ত বিস্তারিত বলা যাবে।