নাকফুল- দুল পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না

পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল বন্ধে অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতের সরকার। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রযুক্তি ব্যবহারে অসদুপায় বন্ধ করতে নাকফুল-দুল-বালা পরে ঢোকা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছে দেশটির ‘জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড’। আগামী ২৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষায় এ নিয়ম কার্যকরের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এনডিটিভি জানায়, মোবাইল, ব্লু-টুথ ডিভাইস, পেজার, হেডফোন, ইয়ারফোন, মাইক্রোফোন, ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার তো প্রশ্নই নেই। এমনকি কাগজ, স্কেল, পেনসিল বক্স, স্ক্যানার, পেন ড্রাইভ তো বটেই, এমনকি পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো ছাত্রছাত্রী রাবার নিয়েও ঢুকতে পারবে না।

বিভিন্ন রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি কড়া নির্দেশিকা হলো, হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ঘড়ি পরে হলে ঢোকা যাবে না। শনিবার সিবিএসই এবং রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

নতুন নিয়মে পরীক্ষার্থীদের আরো কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সানগ্লাস, গলার চেইন, পেনডেন্ট পরে বা সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। বড় বড় বোতামওয়ালা জামাকাপড় পরতেও নিষেধ করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বদলে হালকা পোশাক-আশাক, হাফ স্লিভস পরার উপদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

এ ছাড়া মেয়েরা হেয়ার ব্যান্ড, ব্রোচ পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারবেন না। ভারী জুতোর বদলে স্লিপার পড়তে বলা হয়েছে। কারণ, বিশেষ জামাকাপড়ে মোবাইল বা ব্লু টুথ লুকিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকার আশঙ্কা করছে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সিবিএসই বোর্ড।

রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশনস বোর্ডের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান ড. সজল দাশগুপ্ত জানান, সবদিক বিচার করে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো প্রায় দুর্ভেদ্য করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘জয়েন্টের ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার সময় আমরা যতটা কড়া হয়েছিলাম, মেডিকেলেও সেসব ব্যবস্থা থাকছে।’



মন্তব্য চালু নেই