নাইজেরিয়ায় আশুরার সমাবেশে হামলা, নিহত ২৯

নাইজেরিয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইউবি প্রদেশে মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র আশুরা উদযাপনের গণসমাবেশে (তাজিয়া) শক্তিশালী আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে ২৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কিছু লোক।

এদিকে দেশটির কোগি প্রদেশে অস্ত্রধারীরা শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রদেশের লোকোজা শহরের একটি কারাগার উড়ে যায়। এ সময় একজন নিহত ও ১৪৪ জন কয়েদি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউবি প্রদেশের বাসিন্দা ইউসুফ আবদুল্লাহি জানান, আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেই তাজিয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেয় এবং তার কাছে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ইউবি প্রদেশে পতিসকুমে এ হামলা চালানো হয়। এটি মূলত দেশটির সুন্নিপন্থী বিদ্রোহী সংগঠন বোকো হারামের মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ গানা বলেন, ২৩ জনের লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি। এর মধ্যে তার ভাইও রয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৯ জনের লাশ এখন পর্যন্ত হাতে পেয়েছে তারা। তবে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

আরেকজন বাসিন্দা জানান, বিস্ফোরণ ঘটানোর পরপরই তাজিয়ায় অংশ নেওয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। কোনো পক্ষ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

তবে দেশটির বিদ্রোহী সংগঠন বোকো হারামকে হামলার ব্যাপারে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ সংগঠনটি এর আগে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকদের অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে
জানান, ভিড়ের মধ্যে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। এতে অনেক লোক হতাহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে বোকো হারাম নাইজেরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে।
মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরেই শুধু বোকো হারামের হামলায় দেশটিতে প্রায় দুই হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।



মন্তব্য চালু নেই