দুই শীর্ষ জঙ্গির মধ্যে ফাটল, বড়সড় ভাঙনের মুখে লস্কর
বড়সড় ভাঙনের মুখে লস্কর-ই-তৈয়বা। তেমনই খবর পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। জঙ্গি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ এবং সংগঠনটির কাশ্মীর অপারেশনস-এর প্রধান জাকিউর রহমান লকভির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি ভাঙনের মুখে পড়েছে।
জাকিউর রহমান লকভি তাঁর সব অনুগামীদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের খুন করে উপত্যকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তোলার ছক কষেছে লস্করের একটি অংশ, এমন খবরও মিলেছে।
লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাইদ এখন পাকিস্তানে গৃহবন্দি। তবে সেই বন্দিদশার জন্য যে মুম্বাই হামলার এই মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর সংগঠনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। সংগঠনের নীতি নির্ধারণের বিষয়ে তিনি আগের মতোই সক্রিয় রয়েছেন।
কিন্তু মুম্বাই হামলার আর এক অভিযুক্ত তথা লস্করের কাশ্মীর অপারেশনস-এর প্রধান জাকিউর রহমান লকভির গুরুত্ব এখন আগের চেয়েও বেড়ে গিয়েছে। সংগঠনের নীতি নির্ধারণে হাফিজের সব কথা বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে লকভি নাকি এখন আর রাজি নন।
ঠিক কী নিয়ে হাফিজ সাইদ এবং জাকিউর রহমান লকভির মধ্যে ফাটল ধরেছে, গোয়েন্দা সূত্রে তা জানা যায়নি। তবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক জানিয়েছে, হাফিজ এবং লকভির মধ্যে ফাটল এখন বেশ চওড়া। ফলে দুই শীর্ষ নেতার অনুগামীরাও নাকি দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
জাকিউর রহমান লকভির শিবির জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে খুব বড় কোনও ছক কষেছে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। কারণ লকভির নির্দেশে তাঁর অধিকাংশ অনুগামী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জড়ো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জম্মু-কাশ্মীরে চলতে থাকা অশান্তির আঁচ আরও উস্কে দিতে হুরিয়ত কনফারেন্স-এর মতো সংগঠনগুলির কয়েক জন নেতাকে লস্কর খুন করার ছক কষেছে বলেও জানা গেছে।
হুরিয়তের কোনও নেতা বা অন্য কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা যদি খুন হন এবং তার দায় যদি প্রশাসনের উপর চাপানো যায়, তা হলে উপত্যকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে। লস্করের সেই ছক যাতে সফল না হয়, ভারতের গোয়েন্দারা এখন তা নিশ্চিত করতেই তৎপর হয়েছেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
মন্তব্য চালু নেই