দুই বছরের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ

২০১৭ সালের আগে বিয়ে করতে পারছেন না ভারতের মোজাফফর নগরের বাসিন্দা ভুপেন্দর বলিয়ান। বিয়েতে পাত্রী পক্ষের কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করায় এবং বিয়ে ভেঙে দেয়ায় তাকে এ শাস্তি দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

ভুপেন্দরের জন্য এ ঘটনা প্রথম নয়। তিনি এর আগেও সাত সাত বার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। মমতা ছিলেন তার আট নম্বর শিকার। বিয়েতে যৌতুক দাবি করা আর সেটি না পেলে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া যেন তার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

কুসুমের পরিবার জানিয়েছে, কাসিমপুর গ্রামের ২৪ বছর বয়সী মোজাফফরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২০ বছরের মমতা পুনিয়ার । ভুপেন্দর একজন সেনা জওয়ান। গত তিন এপ্রিল মমতা এবং বলিয়ানের আংটি বদল হয়। তখন পাত্র পক্ষ একটি মোটর সাইকেল দাবি করেছিল। মেয়ের পরিবার তা মেনেও নেয়। কিন্তু এর দুই দিন পরেই ভুপেন্দরের বাবা-মা একটি গাড়ি এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। মমতার পরিবার এটি মেনে না নেয়ায় বিয়ে ভেঙ্গে দেয় ভুপেন্দরের পরিবার।

এ ঘটনা জানার পর গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান নরেস ‍তিকায়েত আগামী দু বছরের জন্য ভুপেন্দরের বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। বেচারী ভুপেন্দর! ২০১৭ সালের এপ্রিলের আগে আর বিয়ের পিড়িতে বসতে পারছেন না তিনি। এখানেই শেষ নয়। বিয়ের প্রস্তুতির জন্য মমতার পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে ৮১ হাজার রুপি জরিমানা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত।

ভুপেন্দরের বাবা রামভাজ বলিয়ান ইতিমধ্যে ছেলের হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন এবং মেয়ের পরিবারকে ৮১ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন। এরপরও বিয়ের জন্য ২০১৭ পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে ভুপেন্দরকে।



মন্তব্য চালু নেই