দীপন হত্যার মাস্টারমাইন্ডও মেজর জিয়া

গুলশানের আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনার নেপথ্যে বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম এসেছিল সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার। এবার প্রকাশক দীপন হত্যার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবেও তার নাম উল্লেখ করলো পুলিশ।

বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টঙ্গী থেকে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের প্রধান ও পুরস্কার ঘোষিত আসামি মইনুল হাসান শামীমকে (সাংগঠনিক নাম সিফাত, সামির, ইমরান) গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার হওয়া ‘শামীম’ দীপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সে হত্যাকাণ্ডের আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকি করেছে। হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে আরো পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। এক মাস আগে থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম মেজর জিয়াকে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বলেছে।

তিনি আরো বলেন, শামীম ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সদস্যদের প্রশিক্ষক ও পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। প্রকাশক দীপন ছাড়াও সে ৪ জানুয়ারি সাভারে সান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। শামীম এবিটির সামরিক শাখার শীর্ষ চারজনের মাশুল দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। এছাড়া মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে বোমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছেন শামীম।

শামীমের বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জ। সে ময়মনসিংহের মদনমোহন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই