মাগুরা ও চাঁদপুরে ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামালা

দগ্ধ হয়ে চলে গেলেন আরো ৩ জন

মাগুরা সদর উপজেলার মঘিরঢাল এলাকায় শনিবার রাতে ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন। এরা হলেন- রওশন আলী (৩৫) ও শাকিল আহমেদ (২৮)। তাদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার মালিক গ্রামে।
অপর দগ্ধরা হলেন- আরব আলী (২৫), ফারুক আহমেদ (৪০), নাজমুল হোসেন (২৫), ইলিয়াস হোসেন (৩৫), মো. মতিন (৩০), ইয়াদুল ইসলাম (৩৮) ও ট্রাকচালক ইমরান আলী (৫০)।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে জাতীয় প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ মাগুরায় ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে রওশন আলী মারা যান। এরপর রোববার বেলা ১২টার সময় শাকিল আহমেদ নামের আরেক শ্রমিক মারা গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘দগ্ধ শাকিলের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৬৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। চেষ্টা করেই তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বাকি সাত জনের অবস্থাও আশাঙ্কাজনক।’
গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে মাগুরা জেলা সদরের মাঘিরঢাল এলাকায় মাগুরা-যশোর মহাসড়কে বালুর ট্রাকে পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এসময় ওই ট্রাকে থাকা ৯ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়। দগ্ধ ব্যক্তিদের প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘জেলা সদরের মাঘিরঢাল এলাকায় মাগুরা-যশোর মহাসড়কে বালুর ট্রাকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ৯ শ্রমিক দগ্ধ হয়। দগ্ধ ব্যক্তিদের প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চাঁদপুরে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ ট্রাকমালিকের মৃত্যু
চাঁদপুরে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ ট্রাকমালিক খন্দকার শরিফুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। রবিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (বার্ন ইউনিট) পার্থ শঙ্কর পাল জানান, পেট্রোলবোমায় ট্রাকমালিক খন্দকার শরিফুল ইসলামের ৮৮ শতাংশ পুড়ে গেয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৩টায় তিনি মারা গেছেন।
গত ১৮ মার্চ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ও রঘুনাথপুর এলাকায় বুধবার রাতে দু’টি পণ্যবাহী ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর (৪০) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। জাহাঙ্গীরের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায়। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হন খোরশেদ (৩০), রুবেল (৩৮) ও শরিফ (৩৫)। রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই