থাইল্যান্ডে নির্যাতন শিবির উচ্ছেদে ডেডলাইন

থাইল্যান্ডে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীদের নির্যাতন করা সব শিবির উচ্ছেদে স্থানীয় প্রশাসনগুলোকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুৎ চান ওচা। থাই সরকারের উপ-মুখপাত্র সানসের্ন কেউকামনের্দ এ কথা জানিয়েছেন। খবর ব্যাংকক পোস্টের।

সানসের্ন বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনগুলোকে সঙ্খলার সব অবৈধ নির্যাতন শিবির উচ্ছেদে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর পরে যদি কোনো অঞ্চলে মানবপাচার, নির্যাতন শিবির ও এ সংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় তাহলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

মেজর জেনারেল সানসের্ন বলেন, ‘কোনো প্রদেশের কর্মকর্তা যদি এ ধরনের (মানবপাচার) কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকে ও সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ না নেয় তাহলে স্থানীয় প্রশাসনগুলোকে প্রাদেশিক সরকারের মাধ্যমে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।’

সম্প্রতি দেশটির সঙ্খলা প্রদেশের সাদাও জেলার পেদাং বেসার এবং ফাঙ্গগা প্রদেশে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীদের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

গত শুক্রবার পেদাং বেসারের খাওকেও পর্বতাঞ্চলে মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত গোপন নির্যাতন শিবিরের সন্ধান পায় থাই পুলিশ। শিবিরটির পাশে প্রায় ৩০টি কবর পাওয়া যায়। এর মধ্য থেকে ২৬টি লাশ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওগুলো মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের লাশ।

এ ঘটনার পর সোমবার রাতে বান তালোহ এলাকায় আরেকটি নির্যাতন শিবিরের সন্ধান পায় পুলিশ। এর পাশে খুঁজে পাওয়া কবরগুলো থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন নারী ও দুইজন পুরুষ।

এ সকল কবরের সন্ধান পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে থাই প্রশাসন। দেশটির পুলিশ ইতোমধ্যে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে চারজনই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এ ছাড়া বিভিন্ন সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সঙ্খলা প্রদেশ ছাড়াও রানোং, ফাঙ্গনা, সাতুন, ইয়ালা, পাত্তানি ও নরথিওয়াট প্রদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে মানবপাচারকারীরা। এ সকল প্রদেশগুলোতে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও নেটওয়ার্ক ধ্বংসে কাজ করছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই