থাইল্যান্ডের নির্বাচন পেছালো

জাতীয় নির্বাচন আরও ছয় মাস পেছানোর ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তা। মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিদেশ ভ্রমনে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কয়েক ঘন্টা পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘটনায় দেশটির গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোতে ফেরত যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

গত বছর ইংলাক বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে জান্তা সরকার ২০১৬ সালে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল। এর আগে তারা জানিয়েছিল নির্বাচনের জন্য দেশটির সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে। এ জন্য সময় প্রয়োজন। তাই সরকার ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। ওই সময় খসড়া সংবিধান প্রণয়ন শেষে তার ওপর গণভোটের সুপারিশের করেছিলেন জান্তা সরকারের মনোনীত সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা।

মঙ্গলবার জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী উইসানু ক্রিয়াংগাম বলেন, নতুন সংবিধানের ওপর আগে যেহেতু গণভোটের আয়োজন করতে হবে, তাই জাতীয় নির্বাচন ২০১৬ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এটা আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।’

সমালোচকদের মতে থাইল্যান্ডের রাজনীতি থেকে সিনাওয়াত্রা পরিবারকে চিরতরে বিদায় করতেই জান্তা সরকার এ নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই