থাইল্যান্ডের জঙ্গলে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের গণকবর!
থাই কর্তৃপক্ষ বলছে, মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে তারা ৩২টি কবর পেয়েছে। এসব কবরে বাংলাদেশী এবং মিযানমারের লোকজনকে কবর দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই এলাকায় মানবপাচারকারীরা খুবই সক্রিয়। কবর থেকে মৃতদেহ খুঁড়ে বের করার প্রক্রিয়া চলছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে এরা রোহিঙ্গা এবং পাচার হওয়ার পথে কোনো এক সময় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশীও থাকতে পারে।
মালয়েশিয়ার সাথে থাইল্যান্ডের সীমান্তের খুব কাছে প্রত্যন্ত একটি জঙ্গলের গভীরে কবরের মতো মনে হওয়া এসব স্থান পাওয়া গেছে।
দেহাবশেষের খোঁজে এখন খুঁড়ে দেখা হচ্ছে এক একটি করে কবর ।
ব্যাংকক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, কয়েকটি মৃতদেহ উপরে তোলা হয়েছে। এমনকি একটি দেহ পড়েছিলো মাটির ওপরে। পরে দেখা যায় তিনি জীবিত। তিনি বাংলাদেশী বলে এএফপির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানানো হয়নি। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা স্থানীয় মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানিয়েছে।
এরা কিভাবে এখানে এসেছে বা তাদের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেসব এখনও খুব একটা পরিষ্কার নয়। কিন্তু দেহাবশেষ দেখে থাই পুলিশ অনুমান করছে যে, তাদের অনেকেই হয়তো ক্ষুধা আর রোগশোকে মারা গেছেন।
প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে, দেহাবশেষ দেখে মনে হচ্ছে যে এরা রোহিঙ্গা কিংবা বাংলাদেশী। তবে তারা কোত্থেকে এসেছে সেটাও পরিষ্কার নয়। ।
ধারণা করা হচ্ছে, মানব পাচারকারীরা এই জঙ্গলের ভেতরে ক্যাম্প বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এসব ক্যাম্পে লোকজনকে কখনো সখনো মাসের পর মাসও আটকে রাখা হয়। এসময় পাচারকারীরা এসব লোকজনের পেছনে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকেও অর্থ দাবী করে থাকে।
সংবাদদাতারা বলছেন, ওই এলাকায় মানব পাচারকারী চক্র খুবই সক্রিয়। তারা দেশের ভেতরে এমনকি সমুদ্রেও তৎপর। প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ থাইল্যান্ডের ভেতর দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। এজন্যে পাচারকারীরা এই রুট ব্যবহার করে থাকে।
মন্তব্য চালু নেই