তুরস্কে ৯ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

আমেরিকায় বসবাসরত তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তুরস্কের ৯ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশটিতে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার ৯ মাস পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত বছরের জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন একদন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে ফেতুল্লাহ গুলেনকে দোষারোপ করে তুরস্ক সরকার। যদিও এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন গুলেন।
এর আগে, গুলেন সমর্থকদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযানে এক হাজারেরও বেশি লোককে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাসব্যাপী চলা এই অভিযানকে দেশের অন্যতম বড় অভিযান বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোলু বলেন, ‘সিক্রেট ইমাম’ নামের এই অভিযানের মাধ্যমে গুলেন নেটওয়ার্কের সদস্যদের চিহ্নিত করে আমাদের পুলিশ বাহিনী থেকে তাদের ছেঁটে ফেলা হবে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ ‘সিক্রেট ইমাম’কে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকার কথাও জানান তিনি।
গত বছরের ১৫ জুলাই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়। এরপর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪০ হাজার মানুষকে আটক করা হয় এবং এক লাখ ২০ হাজার বরখাস্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ছিলেন সেনা, পুলিশ, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা, তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়।
মন্তব্য চালু নেই