তুরস্কে একই দিনে ৪ হামলা : নিহত ৫

একই দিন কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চার হামলায় কেঁপে উঠল তুরস্ক। সোমবার ইস্তাম্বুলে পুলিশ স্টেশন, যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট, সিরনাক প্রদেশে টহল পুলিশ এবং একই এলাকায় সেনা হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

বিবিসি অনলাইনের সবশেষ খবর অনুযায়ী, দেশটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সিরনাক প্রদেশের সিলোপি এলাকায় টহল পুলিশের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। একই এলাকায় একটি সামরিক হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে নিহত হন এক সেনাকর্মকর্তা। এই দুই ঘটনায় আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্য এবং এক সেনা সদস্য।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সামরিক হেলিকপ্টারে গুলি চালানোর দায় স্বীকার করেছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)।

এর আগে সোমবার সকালে ইস্তাম্বুলের একটি পুলিশ স্টেশনে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালালে পাঁচ পুলিশ সহস্যসহ সাতজন আহত হন। ওই হামলার একটু পরেই ইস্তাম্বুলে মার্কিন কনস্যুলেটে ঢুকে দুই বন্দুকধারী হামলা চালায়। তবে সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ স্টেশনে বন্দুকধারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ সদস্যরা পাল্টা হামলা চালালে দুই হামলাকারী নিহত হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলাকারী এক নারীকে গ্রেফতার করেছে ইস্তাম্বুল পুলিশ। তবে তিনি পিকেকে না কি আইএসের সদস্য তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সামরিক হেলিকপ্টারে হামলার দায় পিকেকে স্বীকার করলেও পুলিশ স্টেশন ও মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার দায় কেউ নেয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আইএস বা পিকেকে এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।

গত মাসে তুরস্কে আইএস হামলা চালানোর পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক অভিযানে নেমেছে তুরস্ক। তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ায় আইএসের ঘাঁটি লক্ষ্য বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তুর্কি সামরিক বাহিনী। এদিকে কুর্দিরা অভিযোগ করছে, আইএসের দোহাই দিয়ে তুস্কর সরকার কুর্দিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

সোমবারও পিকেকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আইএসকে বাঁচাতে কাজ করছে তুরস্ক। তুর্কি সরকারের মূল লক্ষ্য কুর্দিদের ধ্বংস করা।

এমন দাবির দিনেই তুরস্ক কেঁপে উঠল সিরিজ হামলায়। বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় তুরস্কজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইস্তাম্বুলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই