তুরস্কে আটক সেনারা ‘ধর্ষণ’ ও ‘শারীরিক নির্যাতনের’ শিকার
তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর আটক প্রায় ১০ হাজার সৈন্য মানবেতর জীবনযাপন করছে এমন মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, বন্দী সেনাদের ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ও খাবারের কষ্ট দেয়া হচ্ছে। তারা দাবি করেছে বন্দীদের পানিও খেতে দেয়া হচ্ছে না কয়েকদিন ধরে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্দীদের আটকে রাখা এ হল রুমের ছবি বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। সেখানে দেখা যায়, পিঠের দিকে হাত বেঁধে রাখা অবস্থায় এ সকল সৈন্যদের শুইয়ে রাখা হয়েছে। তাদের অধিকাংশর শরীরে যৎসামান্য কাপড় রয়েছে। একটি হল রুমে তাদের ফাইল করে শুইয়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে বন্দী সেনাদের ওপর নির্যাতনের খবর, ছবি এবং ভিডিও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তুরস্ক সরকার এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সেনাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ রয়েছে।
বন্দী সেনাদের সঙ্গে কি কি ঘটছে সে বিষয়ে জানতে আইনজীবী, চিকিৎসক এবং আটক কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। তারা জানায়, তুরস্ক সরকারের উচিত বন্দীদের অবস্থা পর্যালোচনার জন্য এখনই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহায়তা করা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আঙ্কারা পুলিশ হেড কোয়ার্টার স্পোর্টস হল, আঙ্কারা বাসকেন্ট স্পোর্টস হল এবং রাইডিং ক্লাবে রাখা বন্দীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তারা সেখানে গিয়ে বন্দীদের ওপর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছেন।
এ সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরো জানায়, আমাদের কাছে তথ্য আছে কিছু আটক সৈন্য ৬ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ দেয়ার চেষ্টা করেছে। অনেকেই নিজের মাথা দেয়ালে বাড়ি দিয়ে থেঁতলে ফেলার চেষ্টা করেছে। এই সবগুলো কাজই হচ্ছে আটক সেনাদের ওপর নির্যাতনের কারণে। এক্সপ্রেস ডটকম ডটইউকে।
মন্তব্য চালু নেই