তারেক ক্ষমা না চাইলে খালেদার সভা-সমাবেশ বন্ধ: ছাত্রলীগ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, “দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত, স্বেচ্ছায় মুচলেকা দিয়ে নির্বাসিত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি, ‘জাতীয় বেয়াদব উন্মাদ’ তারেক রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটূক্তি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই ‘উন্মাদ’ তারেক রহমান নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলার মাটিতে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।”

রোববার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটূক্তি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি এ ঘোষণা দেন।

গত ১৬ ডিসেম্বর তারেক রহমান দজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটূক্তি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে সমাবেশ করে এবং সেখানে তারেক রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহের মাধ্যমে শেষ হয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ এবং এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, ইমাউল হক সরকার টিটু, আবু হানিফ, রেজাউল হাফিজ রেশিম, সুমন কুন্ডু, এ.এইচ. জিসান মাহমুদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, প্রচার সম্পাদক শাহরুখ মিরাজ, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, সমাজসেবা সম্পাদক কাজী এনায়েত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এরশাদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, পরিবেশ সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, নাট্য ও বির্তক সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন রাজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, “গত ১৬ ডিসেম্বর তারেক রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা না চাইলে আগামী ২৭ তারিখে গাজীপুরে বিএনপি যে সমাবেশ ডেকেছে বাংলার ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে সেই সমাবেশ প্রতিহত করা হবে এবং শত চেষ্টার বিনিময়েও বিএনপিকে কোনো সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।”

তিনি বলেন, “তারেক রহমান যদি তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান না করে এবং দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা না হয় বিএনপিকে বাংলাদেশের কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।”

সোহাগ বলেন, “১৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তাতে এবারের বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। তাই আমরা চাই তিনি অতি দ্রুতই তারা এ বক্তব্য প্রত্যাহার করবে এবং বিএনপি তাকে বাধ্য করবে নতুবা দল থেকে তাকে বহিষ্কার করবে।”

এছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঘোষিত কর্মসূচি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, ইসলামপুর, সড়িষাবাড়ী, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, বাজিতপুর, আড়াইহাজার, হাতিয়া, দোহার, লালপুর, শিবপুর, রূপগঞ্জ, মেঘনা, দাউদকান্দি, মুক্তাগাছা, ধামরাই, শিবালয়, উপজেলা, দোহার, বগুড়া সদর, মুন্সিগঞ্জ সদর, ময়মনসিংহ সদর, মানিকগঞ্জ সদর, সৈয়দপুর, আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম সদর, মোল্লাহাট, পীরগাছাসহ বাংলাদেশের সকল উপজেলা, থানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

আগামী ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার আসামী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারেক রহমানের এ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে রংপুর, বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, রাজশাহী মহানগর, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, বরিশাল, খুলনা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সিলেট, চট্টগ্রাম মহানগর, নরসিংদী, নারায়াণগঞ্জ, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, রাজবাড়ী, ব্রাক্ষ্রমনবাড়ীয়া, গোপলগঞ্জ, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মেহেরপুর, বাগেরহাট, জামালপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা উত্তর, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা জেলা, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ প্রমুখ মামলা করে।



মন্তব্য চালু নেই