ঢাকা মেডিকেলে দ্বিতীয় দফায় নার্সদের ওপর লাঠিচার্জ
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসার সামনে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত নার্সদের ওপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালেও দ্বিতীয় দফায় লাঠিচার্জ করা হয়েছে। পরে আন্দোলনকারীরা ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেয়।
বুধবার (০১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ১০ জন ও পরে আরো ২০ জন নার্স ঢামেকের জরুরি বিভাগের ভর্তি হন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের দেখতে আরো প্রায় দেড়শ’ নার্স সেখানে যান। এ সময় তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করেন। এর একপর্যায়ে নার্সরা ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয়া শুরু করেন।
পরে শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাফরের নেতৃত্বে এক প্লাটুন পুলিশ মেডিকেলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সামান্য লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’
ঢামেক আনসার কমান্ডার জজ মিয়া বলেন, ‘নার্সরা যেভাবে মিছিল করছিল তাতে অন্য রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সামান্য লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’
লাঠিচার্জের এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢামেকের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় চিকিৎসা নিতে আসা জোসনা বেগম (৫৫) নামে এক রোগীর মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার পোলা মইরা যাইতাছে, অথচ আমারে হাসপাতালে ঢুকতে দিতাছে না। এইডা কেমন কথা রে ভাই।’ পরে পুলিশ ও নার্সদের অনুরোধ করে ২০ মিনিট পর ছেলে আহম্মদকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন জোসনা বেগম।
উল্লেখ্য, ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাসের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখতে না পেয়ে তার বাসভবন ঘেরাওয়ে যায় বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি।
মন্তব্য চালু নেই