ঢাকার পাশেই ‘মিনি কক্সবাজার’ থেকে ঘুরে আসুন

রাজধানীর কোলাহল ছেড়ে একদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যেতে চাইলে মৈনট ঘাটকে বেছে নিতে পারেন৷ সেখানে গেলে পদ্মার সৌন্দর্য্য যেমন আপনাকে মোহিত করবে, তেমনি খেতে পাবেন পদ্মার তাজা ইলিশ৷

যেভাবে যেতে হবে : মৈনট ঘাটের অবস্থান ঢাকার দোহার উপজেলায়৷ গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার থেকে সেখানে সরাসরি যাওয়ার বাস সার্ভিস আছে৷ ভাড়া জনপ্রতি ৯০ টাকা৷ সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা৷

‘ছোট কক্সবাজার’ : মৈনট ঘাটের আশেপাশে বিশেষ করে পূর্ব দিকে আছে বিশাল চর আর সামনে বিস্তীর্ণ পদ্মা৷ এই ঘাটের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই একে ‘ছোট কক্সবাজার’ বা ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে ডাকতে শুরু করেছে৷

পদ্মায় ঘুরে বেড়ানো : নৌকা কিংবা স্পিডবোটে করে পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়াতে পারেন৷ আট জনের চড়ার উপযোগী একটি স্পিডবোটের ভাড়া আধ ঘণ্টার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা৷ এছাড়া আড়াইশ থেকে ৮শ’ টাকা ঘণ্টায় ইঞ্জিন নৌকায় চার থেকে ২০-২৫ জন একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যায়৷

পদ্মায় ঘুরে বেড়ানো : নৌকা কিংবা স্পিডবোটে করে পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়াতে পারেন৷ আট জনের চড়ার উপযোগী একটি স্পিডবোটের ভাড়া আধ ঘণ্টার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা৷ এছাড়া আড়াইশ থেকে ৮শ’ টাকা ঘণ্টায় ইঞ্জিন নৌকায় চার থেকে ২০-২৫ জন একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যায়৷

সতর্ক থাকতে হবে : স্পিডবোট কিংবা নৌকায় করে পদ্মায় ঘোরার সময় লাইফ জ্যাকেট পরা উচিত৷ কেননা বর্ষা ও শরতের সময় পদ্মার ঢেউ হঠাৎ করেই বেড়ে যায়৷ তাই খুব ছোট নৌকা নিয়ে পদ্মার ভেতরে বেড়াতে যাওয়া ঠিক হবে না৷

টাটকা মাছ কিনুন : নৌকা করে ঘুরতে গিয়ে হয়ত জেলে নৌকার দেখা পেয়ে যেতে পারেন৷ তাহলে দেরি না করে একেবারে তাজা মাছ কিনে নিতে পারেন তাদের কাছ থেকে৷

খাবার ব্যবস্থা : মৈনট ঘাটের রেস্তোরাঁগুলোতে পদ্মার ইলিশের স্বাদ নেয়া যেতে পারে৷ এছাড়া ঘাটের কাছে কার্তিকপুর বাজারেও ভালো খাবারের ব্যবস্থা আছে৷

নবাবগঞ্জের অন্যান্য নিদর্শন : মৈনট ঘাট এলাকায় ঘোরার জন্য বিকালটা ভালো সময়৷ সূর্যাস্তও দেখা যাবে তখন৷ তার আগে সকালে মৈনট ঘাট যাওয়ার পথে নবাবগঞ্জে নেমে সেখানকার প্রাচীন স্থাপনাগুলো দেখা যেতে পারে৷ যেমন জজ বাড়ি (ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন), কলাকোপার ঐতিহাসিক গান্ধী মাঠ, প্রাচীন প্রাসাদ, এন হাউজ, জগবন্ধু সাহা হাউজ এবং খেলারাম দাতার বাড়ি৷ দেখা যেতে পারে বান্দুরার জপমালা রাণীর গির্জাও৷

রাতে থাকার ব্যবস্থা : মৈনট ঘাট এলাকায় রাতে থাকার ভাল ব্যবস্থা এখনও নেই৷ তবে ঢাকার কাছে হওয়ায় দিনে গিয়ে দিনে ফিরে যাওয়াই ভালো৷ নিজেরা গাড়ি নিয়ে গেলে ভ্রমণটা আরামদায়ক হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে মৈনট ঘাট ছাড়াও নবাবগঞ্জের স্থাপনাগুলো দেখা যাবে৷

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না : মৈনট ঘাটে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে গিয়ে যদি আশেপাশে ময়লা দেখতে পান তাহলে নিশ্চয় আপনার ভালো লাগবে না৷ তাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে৷ যেখানে সেখানে পানির বোতল, চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট সহ কোনো ময়লা ফেলা যাবে না৷ আপনি নিজে যেমন ফেলবেন না, তেমনি কাউকে ফেলতে দেখলে তাকে নিরুৎসাহিত করাটাও আপনার দায়িত্ব৷ – ডয়চে ভেলে



মন্তব্য চালু নেই