ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন যারা
তার ক্যাবিনেটই আমেরিকার ইতিহাসে সেরা হতে চলেছে। এমন দক্ষ মানুষদের নিয়ে এর আগে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেট তৈরি হয়নি। আর তার ফলে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জিতবেন রিপাবলিকানরাই।
আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার আগে বৃহস্পতিবার তার ভাষণে এ কথাই জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কথায়, ”এমন ক্যাবিনেট আমেরিকা এর আগে দেখেনি।”
ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে ইতোমধ্যেই। আবার কয়েকটি পদে ট্রাম্পের মনোনীত ব্যক্তিদের সিনেট শুনানি স্থানীয় সময় শুক্রবার হওয়ার কথা। মনোনীত ও প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলোতে নিন্মলিখিত ব্যক্তিরা রয়েছেন।
রেক্স টিলারসন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী : মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি এক্সনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেক্স টিলারসন। ব্যবসায়িক সূত্রে রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে টিলারসনের।
জেনারেল জেমস ম্যাটিস, প্রতিরক্ষামন্ত্রী : ‘ম্যাড ডগ’ জেনারেল ম্যাটিসকেই শেষ পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬৬ বছর বয়সী মার্কিন নৌ-বাহিনীর সাবেক
এ জেনারেল ইরাক যুদ্ধের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন। ‘কাউকে গুলি করা আনন্দের’ এমন মন্তব্যের জন্য সমালোচিত ম্যাটিস ইরাক ও আফগান যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছেন।
মাইকেল ফিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা : মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ছিলেন। ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর সাথে কাজ করেছেন ফিন। ইসলাম নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করার রেকর্ড রয়েছে তার।
মাইক পম্পেও, সিআইএ ডিরেক্টর : কানসাসের কংগ্রেসম্যান। সিআইএ’র জিজ্ঞাসাবাদের যেসব পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে সমালোচিত সেগুলোর পে অবস্থান ৫২ বছর বয়সী পম্পেওর। রাজনীতিবিদদের কাছে ‘ইন্টেলিজেন্ট’ হিসেবে খ্যাতি আছে তার।
জেফ সেশন্স, অ্যাটর্নি জেনারেল : ১৯৯৭ সাল থেকে আলাবামা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত। পেশাগত জীবনের শুরুতে ফেডারেল জজ হিসেবে মনোনীত হলেও বর্ণবাদের অভিযোগে সিনেটে তা পাস হয়নি।
ড্যান কোটস, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক : সিনেটের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কমিটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সব গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে প্রশাসন ও কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহিতার জন্য তার ওপরই আস্থা রেখেছেন ট্রাম্প।
স্টিভেন নুশিন, অর্থমন্ত্রী : অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসের সাথে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। হলিউডের খ্যাতিমান একজন প্রযোজক তিনি। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার ফিন্যান্স চেয়ারম্যান ছিলেন।
বেটসি ডেভস, শিামন্ত্রী : এ ধনকুবের মিশিগান রিপাবলিকান পার্টির সাবেক সভাপতি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিমালিকানাধীন শিাব্যবস্থায় তার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
এ ছাড়া জে জন কেলি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী, উইলবার রস বাণিজ্যমন্ত্রী, অ্যান্ড্রিউ পুজডার শ্রমমন্ত্রী, টম প্রাইস স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রী, জেসন মিলার যোগাযোগ পরিচালক, সিন স্পাইসার তথ্যমন্ত্রী, রিক পেরি জ্বালানি মন্ত্রী, বেন কারসন গৃহায়ন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী, ইলেইন চাও পরিবহন মন্ত্রী, রায়ান জিঙ্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ফরেস্ট লুকাস কৃষিমন্ত্রী, ডেভিড শুলকিন প্রবীণ কল্যাণমন্ত্রী, মাইক মুলভানে বাজেট পরিচালক, নিকি হ্যালে জাতিসঙ্ঘ রাষ্ট্রদূত এবং স্টিফেন ব্যানন ও জ্যারেড কুশনার ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন।
প্রত্যয়ী ট্রাম্প বলেছেন, ”মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত প্রার্থীরা ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট যত পেয়েছেন, আমি তাদের সবাইকেই ছাপিয়ে যেতে পেরেছি।”
মন্তব্য চালু নেই