ডুবোচরে আটকা প্রায় চার হাজার যাত্রী
ঈদ করতে বাড়ি ফেরা প্রায় চার হাজার যাত্রী নিয়ে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে তেঁতুলিয়া নদীতে আটকা পড়েছে পটুয়াখালীগামী একটি লঞ্চ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ আল ওয়ালিদ-২ আটকা পড়ে রাত আড়াইটার দিকে। লঞ্চটিতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছিল।
বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লঞ্চটি ছাড়ার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এদিকে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে লঞ্চের যাত্রীরা। এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে খাবার ও খাওয়ার পানি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। খাবারের অভাবে শিশুরা কান্নাকাটি করছে। বৃষ্টি দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে তারা।
যাত্রীরা জানান, রাতেই সবাই ভাড়া পরিশোধ করে দিয়েছে। এখন বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে অতিরিক্ত টাকা প্রয়োজন। আর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় অনেকে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।
লঞ্চে আটকে থাকা শহীদুল সিকদার নামের এক যাত্রী জানান, জায়গা পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে লঞ্চে উঠেন তিনি। আজ ভোর পাঁচটায় তার গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা ছিলো। তার কাছে থাকা খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় ছোট বাচ্চা নিয়ে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন। তিনি বলেন, কখন পৌঁছাতে পারবো কোনো ঠিক নেই। লঞ্চ ঠিক করা অথবা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত করা হয়নি। লঞ্চে থাকা খাবারও শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানান ।
দুর্ভোগে পড়া আকলিমা বলেন, ‘সঙ্গে আনা খাবার সব শেষ। বাচ্চাদের নিয়ে কি করবো বুঝতে পারছি না। সারেং এর কাছে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন’।
যাত্রীরা জানান, লঞ্চ আটকে পড়লে আশেপাশের বন্দর বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ জানায়নি। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যাত্রীরা। এই আশঙ্কায় পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ কেউ বৃষ্টির মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার ভাড়া করে বাড়ি যাচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই