ডাক্তার না কষাই?

ক্যান্সারে আক্রান্ত এমন শতাধিক ব্যক্তিকে কেমোথেরাপি নিতে বাধ্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের এক চিকিৎসক। আর এ কাজটি তিনি করেছেন রোগীদের কাছ থেকে তাদের স্বাস্থ্যবীমা বাবদ লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়ার জন্য। শুক্রবার দেশটির একটি আদালত কসাই এ চিকিৎসককে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরের ডা. ফরিদ ফাতা ভুল শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখিয়ে প্রায় ৫৫৩জন রোগীকে বিনা প্রয়োজনে ইনজেকশন দিয়েছেন । এসব রোগীর রক্তে ক্যান্সার হয়েছে বলে তাদের জানিয়েছিলেন ফাতা। ওকল্যান্ডে বিশাল জায়গা নিয়ে বসবাসরত ফাতা পূর্ব মিশিগানে একই সাতটি ক্লিনিক পরিচালনা করতেন।
ফাতার বিরুদ্ধে চিকিৎসায় প্রতারণার ১৩টি, অর্থ আত্মসাতের জন্যে ষড়যন্ত্রের একটি এবং মানি লন্ডারিংয়ের দুটি অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে। ভুয়া কেমোথেরাপি এবং ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে তিনি বীমা কোম্পানির কাছ থেকে যে ১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার পেয়েছিলেন তার পুরোটাই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সরকার পক্ষের আইনজীবীর জানান, ‘এটি দেশটির ইতিহাসে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতারণার ঘটনা। চিকিৎসক ফাতার কাছে রোগীরা মানুষ নয়, বরং মুনাফা তৈরির কারখানা ছিল।’
ফাতা তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রথমেই খুবই শক্তিশালী এবং মূল্যবান ঔষুধ দিতো।
হার্ভাড মেডিকেলের অধ্যাপক ডা. ড্যান ল্যাঙ্গু বলেন, ‘এসব ঔষুধ বেশি প্রয়োগ করলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।’
উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ এসব ঔষুধ মানবদেহে সর্বোচ্চ আটবার প্রয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু ফাতা একজন রোগীকে ৯৪বার এবং অপর একজনকে ৭৬বার এই ঔষুধ প্রয়োগ করেছিলেন। ফাতা নয় হাজার বারেরও বেশি অপ্রয়োজনীয় ইনজেকশন রোগীদের শরীরে প্রবেশ করিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই