ট্রাম্পের সমর্থক হওয়ায় প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক ভাঙলেন প্রেমিকা!

অনলাইনে পরিচয় হয়েছিল তাদের। পরিচয় থেকে মধুময় প্রেমের সাম্পানে ভেসে বেড়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন তারা। হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় অভাবনীয় এক ইস্যুতে। ক্রমেই তা অলংঘনীয় দূরত্ব তৈরি করে। এই যুগলের একজন (প্রেমিক) ট্রাম্প সমর্থক আর অন্যজন (প্রেমিকা) তার বিরোধী।

ব্যশ যা হওয়ার তাই হলো! প্রেমের দুনিয়ায় সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ। রাজনৈতিক বিভাজন ক্রমেই শক্ত ভিত্তি পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রেমিক যুগলের প্রধান শর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি- বিয়ে থেকে প্রেমে পড়া সব ক্ষেত্রেই। সমস্যা এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, এবার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমমনা প্রেমিক-প্রেমিকা বাছাইয়ের কাজ সহজ করে দিতে এসেছে নতুন এক ডেটিং সাইট- ট্রাম্পসিঙ্গলস ডটকম। মূলত নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে মেলবন্ধন এই সাইটের লক্ষ্য।

ট্রাম্পের অবিশ্বাস্য জয়ে আমেরিকার বহু লোক ভেঙে পড়লেও ধনকুবের এই ব্যবসায়ীর ভক্ত সংখ্যাও তো কম নয়। ট্রাম্প সিঙ্গলস বলছে, তাদের নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ হাজার। তাদের স্লোগান- মেকিং ডেটিং গ্রেট অ্যাগেইন (ডেটিং আবার মহান করো) যা ট্রাম্পের নিবাচনী স্লোগান ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইনের’ পরিবর্তিত রূপ মাত্র।

ম্যাচ ডটকম বা ওকেকিউপিডের মতো ডেটিং সাইট ব্যবহারকারীদের রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে মাথা না ঘামালেও ট্রাম্পসিঙ্গলস এটা নিশ্চিত করতে চায় যে, ব্যবহারকারীরা সবাই ট্রাম্প সমর্থক। সাইটটির প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড গস বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা একটা দারুণ আইডিয়া। আমি অনেক কাহিনী শুনেছি যে, লোকজন প্রেমে পড়ার পর দারুণ সময় কাটায় কিন্তু যখনই রাজনৈতিক আলাপ শুরু হয় তখনই সম্পর্ক ভেঙে যায়।’

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, প্রায় ১৫ ভাগ আমেরিকান অনলাইন ডেটিং সাইট ব্যবহার করে। এদের বেশির ভাগই সিঙ্গল (একা) এবং বয়স ২৪ বছরের নিচে। তবে তাদের বেশির ভাগই সঙ্গী কাকে সমর্থন করে তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।

ট্রাম্পসিঙ্গলের মতোই আরেকটি ডেটিং সাইট তৈরি হয়েছে ডেমোক্রেটিক নেতা বার্নি স্যান্ডার্সের সমর্থকদের জন্য। বার্নিসিঙ্গলস ডটকম নামে ফেসবুকে গ্রুপ খোলার পর ছয় মাসে এতে যুক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ব্যবহারকারী। এএফপি।



মন্তব্য চালু নেই