ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে জার্মানি-জাপান-চীন!

আমেরিকা ফার্স্ট অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রই প্রতম এই ঘোষণা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা নিজের থাবায় নিয়ে আসতে চাইছেন অপরদিকে বিশ্বের অন্যান্য শক্তিগুলো তার কঠিন জবাব দিতে জোট বাঁধার দিকে এগোচ্ছেন। এমন খবর দিয়ছে দ্য ইনডিপেনডেন্ট।

ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন জার্মানি ও জাপান বিশ্ব মুদ্রা বিনিময় বাজারকে প্রভাবিত করে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেদের দখলদারিত্ব কায়েম করতে চাচ্ছে। ট্রাম্পের এ ধরনের মন্তেব্যের প্রতিক্রিয়ায় জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল নিজেদের মধ্যে মৈত্রী গড়ায় তৎপর হয়েছেন। একই সঙ্গে তারা ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকারও করেছেন। এমন পটভূমিতে ধারণা করা যাচ্ছে, ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক ভূমিকার জবাবে দুনিয়ার অপরাপর শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোও একই পথে ধাবিত হবেন অচিরেই।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমর্কর্তা মার্ক লিওনার্দ এ প্রসঙ্গে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে অন্যদের এক কঠিন টক্কর বাঁধতে যাচ্ছে। তিনি তার আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নে চীনসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে উদ্দেশ্যহীনভাবে ভূ-রাজনৈতিক লড়াই উসকে দিতে যাচ্ছেন। এমন পটভূমিতে গত সপ্তাহে মেরকেল চীনা রাষ্ট্রপিতি লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তারা উভয়েই ব্যবসায়িক সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা করেন। যেমন প্রতিবেশী মেক্সিকো থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ট্রাম্প সীমানা প্রাচীর তোলার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তা থেকে সরে আসেননি তিনি। প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত ওই সীমানা প্রাচীরের খরচ তোলার জন্য তিনি মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পন্যে অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হবে বলে জানান।

দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে বিশ্ব অর্থ ও মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দিযেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে চলতে থাকা অনেক দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নানান তৎপরতা এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে এখন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহুপক্ষীয় সম্পর্কের চেয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেই গুরুত্ব দিতে যাচ্ছে। এই বাস্তবতার মুখে বিশ্বের অনেক দেশই নিজ নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে সম্পর্কের নয়া সমীকরণ আর নয়া জোট গঠনে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। এ ছাড়া আরো জানা গেছে, চীনও স্বার্থ সংরক্ষণে এ বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছে। কারণ, এখন আর ট্রাম্পের কথাতে যতই উদ্ভট মনে হোক না কেন- কেউই হাল্কাভাবে নিতে চাচ্ছেন না।



মন্তব্য চালু নেই