ট্রাম্পের তৃতীয় প্রেমের গোপন রহস্য
ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন ক্ষ্যাপা, তেমনি রসিকও। তার কথায় প্রতিপক্ষের মাথায় যেমন রক্ত উঠে যায় তেমনি প্রেমিকার গরম হৃদয়ে নরম পরশ বুলিয়ে যায়। তিন তিনটে বিয়ে করা ট্রাম্পের প্রেমের গল্প অনেক বড়। সেই গল্পের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে অনেক গোপন তথ্য। সেই গোপন তথ্যে ভান্ডার থেকে কিছুটা বের করা হবে এই লেখায়।
ট্রাম্পকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছু নেই। কথা দিয়ে দুনিয়ার মানুষের মাথা নাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্র্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা ট্রাম্প। তাকে নিয়ে রাজনীতির খবর তো থাকছেই। সেই সঙ্গে পাঠকদের জানাতে চাই প্রভাবশালী ট্রাম্পের সংসার জীবনের গল্প, প্রেম-বিরহের কাহিনি।
শুনলে হয়তো অবাক হবেন ট্রাম্প তার তৃতীয় স্ত্রীকে যেভাবে নিজের করে পেয়েছিলেন, তাকে বলতে হয় ‘প্রেমের মার্কেটিং’। ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রীর নাম মেলানিয়া নাউস ট্রাম্প। মেলানিয়াকে প্রথম দেখায় ফিদা হয়ে যান তিনি। প্রেম নিবেদনে প্রাথমিক কাজও তখন সেরে ফেলেন। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো- অন্য বান্ধবীর সঙ্গে ট্রাম্প তখন চুকিয়ে প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ডেটিং করছিলেন। সেই বান্ধবীর সঙ্গে তার গভীর ও সংবেদনশীল সম্পর্কও হয়তো চলছিল।
ট্রাম্প ও তার স্ত্রী সম্পর্কে যা যা বলা হচ্ছে তার কিছুই বানানো গল্প নয় কিন্তু! এ কথা ট্রাম্পের তৃতীয় ও বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া ফ্যাশনবিষয়ক বিখ্যাত ওয়েবসাইট হারপার’স বাজার-কে সরাসরি বলেছেন। ট্রাম্প সম্পর্কে মেলানিয়া যা বললেন, তা শুনলে কারো বুঝতে বাকি থাকবে না, রসিক হলেও ট্রাম্প কিন্তু ম্যাও ম্যাও করা ভেজা বিড়ালের মতো ধর্না ধরা প্রেমিক নন। তিনি রসিক, তবে চাঁচাছোলা।
এই তো কয়েক দিন আগে মেলানিয়া হারপার’স বাজার-কে বললেন, একটি ফ্যাশন উইকে প্রথম দেখা হয় ট্রাম্পের সঙ্গে। সেই ১৯৯৮ সালের কথা। অন্য নারীর সঙ্গে ট্রাম্পের চুকিয়ে প্রেম চলছে। কিন্তু তাতে কি! মেলানিয়াকে ভালো গেলে যায় ট্রাম্পের। একটুও দেরি করেননি ট্রাম্প। মুখ ফুটে বলে ফেলেছেন মনের কথা, ভালো লাগার কথা। ট্রাম্প সেই সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের বিত্তবান হিসেবে পরিচিত। তার প্রভাব ও ক্ষমতা, অর্থ-বৈভব সম্পর্কে বিশাল প্রচার আছে। এমন লোকের প্রেম প্রস্তাব পেয়েই মেলানিয়া কিন্তু ডগমগ হয়ে যাননি।
মেলানিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতের গল্প। মেলানিয়ার কাছে তার ব্যক্তিগত নম্বর চান ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প তখন অন্য কোনো নারীর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। ফলে তিনি ট্রাম্পকে তার নম্বর দেননি। বরং ট্রাম্পের কাছে নম্বর চেয়েছেন। এ নম্বর চাওয়ার মধ্যে মেলানিয়া ট্রাম্পকে একটু বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন। ট্রাম্প আসলে তার সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ গড়তে চাইছেন?
সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয়, বন্ধুত্ব তৈরির ইচ্ছা থাকলে বা ভালো ইচ্ছা থাকলে কেউ তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে থাকেন। আর দূরত্ব বজায় রেখে যোগাযোগ রাখতে চাইলে অফিসের ফোন নম্বর দেন। এক্ষেত্রে ট্রাম্প যা করলেন, তাতে আশ্বস্ত হলেন মেলানিয়া। চাওয়ামাত্র ট্রাম্প তার সব ফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে দিলেন।
তারপর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। ক্যারিবিয়ানে একটি ফটোশ্যুটে গিয়েছিলেন মেলানিয়া। সেখান থেকে ফিরলেন। আর শুরু হলো মেলানিয়া-ট্রাম্পের প্রেম কাহিনি। ফোন দিলেন মেলানিয়া। খুব বেশি সময় অপচয় হয়নি দুজনের কাছে আসতে।
অবশ্য মেলানিয়ার প্রেমে ট্রাম্প যখন হাবুডুবু খাচ্ছেন, তখনো তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা ম্যাপলসকে তালাক দেননি। ১৯৯৩ সালে তাদের বিয়ে হয় আর ১৯৯৭ সাল থেকে ম্যাপলসের কাছ থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন ট্রাম্প। ১৯৯৯ সালে ম্যাপলসের সঙ্গে কাটছাট হয়। তারপর মেলানিয়ার সঙ্গে জমিয়ে প্রেম চলতে থাকে বেশ কয়েক বছর। ২০০৫ সালে মেলানিয়ার সঙ্গে মন্ত্রপাঠে বাঁধা পড়েন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে হয়তো প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প। যদিও তা নাও পান, তবু বিশ্বে আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে তার নামটি আরো কয়েক বছর সামনের সারিতে থাকবে। কারণ তিনি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং তাকে নিয়ে গণমাধ্যমের নাচানাচি আছে ভালোই। ট্রাম্পের জীবনের খুঁনিনাটি বিষয়গুলোও এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকছে।
মন্তব্য চালু নেই