ট্রাম্পের জয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে ১০ গুণ
যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের পাঠক বেড়ে গেছে। সম্প্রতি পত্রিকাটির জ্যেষ্ঠ ব্যবসায়িক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানায়, ৮ নভেম্বরের পর পত্রিকাটির অনলাইন বিভাগে সাবস্ক্রিপশন (নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে সংবাদ-ছবি-ভিডিও পাওয়া) বেড়েছে এক লাখ ৩২ হাজার। সাধারণভাবে সাবস্ক্রিপশন বাড়ার হারের তুলনায় এ সংখ্যা ১০ গুণ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময়ে নিউইয়র্ক টাইমস অনেকটা ঘোষণা নিয়েই ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিল। আর এ জন্য ধারাবাহিকভাবেই ট্রাম্পের বিষয়ে নানা সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী এ খবরের কাগজটিতে।
আর এই ‘ট্রাম্প বিরোধিতার’ জন্যই কি না নির্বাচনের আগে থেকেই অর্থের বিনিময়ে মোবাইলে নিউইয়র্ক টাইমসের খবর সাবস্ক্রিপশন ও খুদে বার্তার মাধ্যমে পেতে আগ্রহী হয়েছেন অনেকেই। আর নির্বাচনের পরে এসে গত বছরের তুলনায় এই হার বেড়েছে ১০ গুণ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের অন্যতম প্রভাবশালী এই পত্রিকার প্রধান নির্বাহী মার্ক থম্পসন এই সাবস্ক্রিপশন বৃদ্ধির হারকে ‘নাটকীয়’ বলে ব্যখ্যা করেছে।
থম্পসন সিএনবিসির ‘স্কুয়াক অন দ্য স্ট্রিট’ অনুষ্ঠানে এসব সাবস্ক্রাইবার দীর্ঘদিন থাকবেন কি না, এ সম্পর্কে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
থম্পসন বলেন, ‘আগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আমাদের পাঠকরা সাবস্ক্রাইবের পর দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে থাকেন। কারণ আমাদের আনসাবস্ক্রাইবের হার কম। কিন্তু এই সাবস্ক্রাইবাররা দীর্ঘদিন থাকবেন কি না, এ সম্পর্কে আমি সন্দিহান।’
এদিকে নির্বাচনের পর পরই নিউইয়র্ক টাইমসকে ‘ব্যর্থ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে সিএনবিসির সাক্ষাৎকারে থম্পসন নিউইয়র্ক টাইমস ‘ব্যর্থতা থেকে দূরে দাঁড়িয়ে অভাবনীয় সাড়া দেখছি’ বলে বর্ণনা দেন।
তবে নির্বাচনের সময়ে নিউইয়র্ক টাইমসের ভূমিকাকে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভালোভাবে নেননি, এটা তিনি বিভিন্ন সময়ে বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। সর্বশেষ ২২ নভেম্বর নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকার বাতিল করেছিলেন তিনি।
পরে অবশ্য ওই দিন পত্রিকাটির প্রতিবেদক ও সম্পাদকদের সঙ্গে তাঁর ওই সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। চার বছর ধরে নিউইয়র্ক টাইমসের সিইও ও বিবিসির সাবেক ডিরেক্টর জেনারেল থম্পসন জানান, হিলারির ই-মেইল কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তিনি কখনোই কোনো চাপ দেননি। এ ছাড়া ওই বিষয়টিতে তিনি বরারবরই খোলা মনের পরিচয় দিয়েছেন। যেমন তিনি দিয়েছেন প্যারিসের জলবায়ু পরিবর্তনের সমঝোতার বিষয়ে।
মন্তব্য চালু নেই