টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পথশিশুদের পাশে ভিকারুননিসার মেয়েরা

খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য চিকিৎসার ও বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা বঞ্চিত যে সকল শিশুদের আমরা টোকাই বা পথশিশু বলে চিনি তাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট (বিআইডিএস) ও ইউনিসেফের ২০০৫ সালের গবেষণা অনুযায়ী দেশে ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৮ জন পথশিশু ছিলো। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রয়েছে ৭ লাখ পথশিশু।

চলতি বছর শেষে দেশে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৪ জনে। আর ২০২৪ সাল নাগাদ এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৩০ জনে। পথের মাঝেই জন্ম এই সব শিশুদের নেই কোন ভবিষ্যৎ, নেই কোন স্থায়ী ঠিকানা।

পথই তাদের বাড়ি, পথই তাদের ঘর, পথই তাদের ঠিকানা। পথের সাথে জড়িয়ে আছে তাদের জীবন।

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মেয়েরা কমলাপুরে পথশিশুদের মাঝে খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে। পথশিশুদের সাথে খেলাধূলা, গল্প বলা তাদের জীবনের গল্প শোনা, বড় মানুষের গল্প বলা ও বড় হবার গল্প, সাধারণ জ্ঞান পাঠদান, ইত্যাদি প্রোগাম বাস্তাবায়ন করে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ইংলিশ ভার্সনের টিচার ফরহানা শারমিন নাফিসের নেত্রত্বে ১০ সদস্যের একটি টিম কমলাপুরে পথশিশুদের মাঝে খাদ্য-বস্ত্র,শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে।

সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটির টিচার আশরাফুর রশিদ পাভেল, সোসাইটি ফর এন্টি এডিকশন মুভমেন্ট (স্যাম) এর অফিস সম্পাদক এম আই মহিদ, মাদক বিরোধী পত্রিকা নেশা’র সহ-সম্পাদক সাগর চন্দ্র দাস, মীম নোশিন নাওয়াল খান ও ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণীর ১০ জন ছাত্রী।

উপস্থিত ছিলোন অপরাজেয় বাংলাদেশ এর ছয় জন প্রজেক্ট কর্মী। সেখানে মোট ৫২ জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে খাদ্য বস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়।

টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পথশিশুদের পাশে দাড়াতে পেরে প্রতিটি মেয়েই নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করেছে বলে মন্তব্য করে এবং ভবিষ্যতে তারা তাদের উদ্যোগকে অব্যাহত রাখবে বলে মত প্রকাশ করে।



মন্তব্য চালু নেই