জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ নয়

পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বে-আইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বচন কমিশনারকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একটি রিট আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ ইজাজ কবির।

জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনে আনা সংশোধনীসহ তিনটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ধারাগুলো হলো- জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইন-২০১৬ এর ৫।

রিটে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এখানে সরাসরি ভোটের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানে পরোক্ষ ভোট বলে কিছু নেই। তাই ওইসব ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি জেলাগুলোতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রতি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

এর আগে করা এক রিটের শুনানি করে রুল দিলেও ভোটে কোনো স্থগিতাদেশ আদালত দেয়নি। গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ একই বিষয়ে রুল জারি করেছিল। আজ আবার পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।



মন্তব্য চালু নেই