জেলা পরিষদ নির্বাচন : এসএসসি পাসও না ১০ ভাগ প্রার্থী
আগামী ২৮ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৪৯ প্রার্থীর মধ্যে ১০ ভাগ হাইস্কুলের গণ্ডি পার হতে পারেননি। তাদের মধ্যে ৫ ভাগ এসএসসি পাস করেছেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য উপস্থাপন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ ভাগ প্রার্থী এইচএসসি, ৫২ ভাগ স্নাতক ও ১৭ ভাগ প্রার্থী স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪৯ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ১৪৬ জনের তথ্য দেয়া হয়েছে, লালমনিরহাটের ৩ প্রার্থীর তথ্য নেই। এছাড়া ৭৩ জন সাধারণ সদস্য ও ১৪ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরও তথ্য নেই ওয়েবসাইটে। বাকীদের তথ্য যাচাই বাছাই করেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সুজনের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১ দশমিক ২৬ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩০২ ধারায় মামলা রয়েছে। আর ২ ভাগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আগেই মামলা ছিল। প্রায় ২৫ ভাগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন না কোন সময় মামলা ছিল বা আছে। প্রায় ৯ ভাগ প্রার্থী এখনো ঋণ গ্রহীতা। এরমধ্যে ৩৫ ভাগ প্রার্থী কোটি টাকার বেশি ঋণের বোঝায় ডুবে আছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৯ ভাগ কৃষক, ৫৬ ভাগ ব্যবসায়ী ও প্রায় ১৫ ভাগ আইন পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রার্থীদের ৩০ ভাগের সম্পদ ৫ লাখের নিচে আর কোটি টাকার উপরে সম্পদের মালিক রয়েছেন ১৪ ভাগ প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, যে সকল নির্বাচনে হলফনামা দাখিলের বিধান রয়েছে, ভবিষ্যতে তার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে প্রার্থীগণ কর্তৃক দাখিলকৃত হলফনামায় সম্ভাব্য অর্থ প্রাপ্তির উৎস ও ব্যায়ের বিবরণী এবং আয়কর বিবরণী দ্রুত ও যথাযথভাবে সন্নিবেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করুণ। প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্যসমূহ যাচাই করে দ্রুততার সঙ্গে ত্রুটি সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করুণ।
সংবাদ সম্মেলনে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই