জেনে নিন ধানমন্ডি লেক সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য (ভিডিও সহ)

ধানমন্ডি লেক নাকি এক সময় কারেভান নদী নামে পরিচিত কারওয়ান বাজার নদীর একটি পরিত্যক্ত খাল ছিল। বাংলাপিডিয়ার তথ্যে সে যা-ই হোক না কেন, ব্যস্ত রাজধানীতে এখন সবুজের সমারোহে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার অন্যতম স্থান ধানমন্ডি লেক। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লেকটির পাড়ে বসে বুকভরে প্রাকৃতিক বাতাস নিতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় করে। আর বর্ষার সময়তো কোন কথাই নেই। এসময় লেকটি এক অনন্য রূপ নেয়।

১৯৫৬ সালে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে। ঢাকাবিশারদ মুনতাসীর মামুন উল্লেখ করেছেন, ধানমন্ডিতে মুঘল আমলে গুটি কয়েক বসতি ছিল। এখানে নির্মিত হয়েছিল ঈদগাহ। এটি ছিল সাতগম্বুজ মসজিদের কাছে। এখানে ধান ও শস্যের বেচাকেনা হতো।

বর্তমান ধানমন্ডি লেকটি কারভান নদী নামে পরিচিত কারওয়ানবাজার নদীর একটি পরিত্যক্ত খাল ছিল। এই খালটি গিয়ে মিশেছিল তুরাগ নদীতে। কারো কারো মতে, বেগুনবাড়ি খালের সঙ্গেও ধানমন্ডি লেকের সম্পর্ক ছিল। সে যাই হোক, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে উঠলে খালের বিলুপ্তি ঘটে। ২৪০ দশমিক ৭৪ হেক্টর জমি নিয়ে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠে। যার ১৬ ভাগ জায়গা এখন হয়ে উঠেছে ধানমন্ডি লেক। জিগাতলা থেকে শুর“ হয়ে লেকটি ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে গিয়ে শেষ হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন লেকটি দেখভালে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও মৎস্য অধিদপ্তরও জড়িত। এছাড়া বর্তমানে বেশকিছু সেবামূলক সংস্থা লেকটির সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে।

ধানমন্ডিলেকটির নির্দিষ্ট কোন খোলা ও বন্ধের সময়সূচী নেই তবে ভোর ৫.০০টা থেকে রাত১০.০০টা পর্যন্ত দর্শনার্থী অবস্থান করতে পারবেন। লেকটিতে প্রবেশের জন্যকোন টিকেটের প্রয়োজন হয় না।

পার্কটিতে বিভিন্ন নামে চত্ত্বর আছে: আয়তনের দিক থেকে লেকটি বিশালাকৃতির হওয়ায় এবং নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক ও রাজনৈতিক কারনে এটি বিভিন্ন নামানুসারে বিভক্ত হয়েছে।

• জিয়া চত্ত্বর

• মেডিনোভা চত্ত্বর

• স্যুটিং পয়েন্ট

• জাহাজবাড়ি পয়েন্ট

• দ্বীপ চত্ত্বর (ডায়নামিক ফুড কোর্ট)

• লেক ভিউ সাইড

• রবীন্দ্র সরোবর (মুক্তমঞ্চ)

• ডিঙ্গি বোধ ক্লাব এন্ড ক্যাফে চত্ত্বর

• সুরধনী চত্ত্বর

• ব্যাচেলর পয়েন্ট

• দ্বীপ চত্ত্বর (বজরা রেষ্টুরেন্ট)

• শতায়ু অঙ্গন

• লেকপাড় গোল চত্ত্বর

• বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর

• শেখ রাসেল চত্ত্বর

• শিকার দ্বীপ

এছাড়া আম্রকানন, বটতলা নামক পয়েন্ট আছে।

পার্কে যেসব গাছ আছে:

কৃষ্ণচূড়া, বটগাছ, রেইন্ট্রি, আমগাছ, কাঁঠাল গাছ, নিমগাছ, বকুল গাছ, কদম গাছসহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে এই লেক সংলগ্ন পার্কে।

খাবার ব্যবস্থা পার্কটিতে রেষ্টুরেন্ট ও ফাষ্টফুড শপ রয়েছে। এছাড়া পার্কটির প্রবেশমুখে কিছু অস্থায়ীদোকান এবং ভেতরেও ফেরিওয়ালারা চা, কফি, বাদাম, ঝালমুড়ি ইত্যাদি বিক্রি করে। বিবিধ সৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য অর্থের বিনিময়ে মাছ শিকারের সুযোগ রয়েছে এখানকার লেকে।

ভিডিও:

https://youtu.be/lU8HyTUbisA



মন্তব্য চালু নেই