জুবায়ের হত্যা মামলার রায় আজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পুননির্ধারিত দিন আজ রোববার।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার কথা থাকলেও ওই দিন আদালতে আসামিদের হাজির করতে না পারায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক নতুন দিন ধার্য করেন।

ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাসলিমা ইয়াছমিন দিপা জানান, রায় ঘোষণার জন্য প্রস্তুতি থাকলেও হরতালে নিরাপত্তাজনিত কারণে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় আজ রায় ঘোষণা হচ্ছে না।

গত ২৮ জানুয়ারি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক এ বি এম নিজামুল হক। সেদিন জামিন থাকা ৭ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।

এ মামলার ১৩ আসামিরা হলেন- মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, খন্দকার আশিকুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ রইস, রাশেদুল ইসলাম রাজু, ইসতিয়াক মেহবুব অরূপ, মাহবুব আকরাম ও জাহিদ হাসান। আসামিরা জাবির বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

১৩ আসামির মধ্যে মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান সোহাগ এ সাতজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

এর মধ্যে পলাতক আছেন ৬ আসামি- খন্দকার আশিকুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ রইস, রাশেদুল ইসলাম রাজু, ইসতিয়াক মেহবুব অরূপ, মাহবুব আকরাম ও জাহিদ হাসান।

গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার কাঠগড়া থেকে চার আসামি খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও মাহবুব আকরাম পালিয়ে যান। তাদের ছাড়াই মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে জুবায়ের আহমেদকে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কুপিয়ে জখম করে। পরদিন ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জুবায়ের আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। এ মামলার ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জন ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।



মন্তব্য চালু নেই