জুতা পায়ে শহীদ মিনারে, বাদ যাননি প্রতিমন্ত্রী-জেলা প্রশাসকও!

মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকে। শহীদ মিনারের বেদির উপর অনুষ্ঠানের মঞ্চ। সামনে থেকে দেখার উপায় নেই শহীদ মিনার। সে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে দিয়ে উঠলেন মাননীয় অতিথিবর্গ।

দেখা গেছে, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকা শহীদ মিনার অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে ঢাকা পড়েছে। সামনে থেকে মঞ্চের আড়ালে পড়েছে শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভ। আর শহীদ মিনারের বেদি-তে করা হয় অতিথিদের আসন। অনুষ্ঠান শুরু হলে অতিথিরা জুতা পায়ে রেখেই শহীদ মিনারের ওই মঞ্চে ওঠেন। এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বন্দীপ কুমার সিংহ রায়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর প্রমুখ ।

শহীদ মিনারের বেদিকে মঞ্চ দেখে এবং অতিথিদের জুতা পায়ে দিয়ে বেদিতে উঠায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবাক হন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
শহীদ মিনারের বেদিতে নামফলক, উপরে মঞ্চের চাদর দেখা যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এতদিন জানতাম শহীদ মিনারে জুতা নিয়ে উঠতে নেই। এটি শ্রদ্ধার জায়গা। আজ দেখলাম শহীদ মিনারে জুতা নিয়ে মন্ত্রীরাই উঠে গেছেন।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ও ঢাকাস্থ আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হাসপাতালের (প্রাইভেট লিমিটেড) ব্রাহ্মণবাড়িয়া লিঁয়াজো অফিসের ইনচার্জ সঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, এটি ভুল হয়ে গেছে। এখন তো আর কিছু করার নেই।

এটি যে শহীদ মিনার, তা জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।



মন্তব্য চালু নেই