জানুয়ারি থেকে চার দেশের মধ্যে যান চলাচল শুরু

আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল (বিবিআইএন) এই চার দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল শুরু হবে। আঞ্চলিক বাণিজ্য সহজ করতে চার দেশের সরকার এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত ও নেপাল- চারদেশের মধ্যে পরিবহন যোগাযোগ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চলমান বিবিআইএন মোটর র‌্যালি বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, ‘যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী এবং ব্যক্তিগত যান চলাচলের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আগামী ৩-৪ডিসেম্বর কলকাতায় একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় চার দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিআইএন-এর রূপকার বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, গত ১-৩ নভেম্বর কার্গো ট্রায়াল রান সম্পন্ন করেছে। ট্রায়াল রানে ২টি গাড়িতে ৪ জন সদস্য অংশ নেন। এর পর গত ১৪ নভেম্বর শনিবার থেকে ১৮দিন ব্যাপী মোটর র‌্যালি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে চার দেশের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশের ভুবনেশ্বর থেকে এই র‌্যালিটি শুরু হয়েছে। র‌্যালিটি ৪ হাজার ২২৩ কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করবে।

আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাড়ে ১৫শ’ কিলোমিটার অতিক্রম করে সিকিম এর গ্যাংটক শহরে অবস্থান করছে।

আগামী ২৮ নভেম্বর ফেনী সীমান্ত দিয়ে র‌্যালিটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পৌঁছবে। এরপর রাজধানী ঢাকা হয়ে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় শেষ হবে মোটর র‌্যালিটি। মাঝে ৩০ নভেম্বর ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে বিবিআইএন এমভিএ সম্পর্কিত এইটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং ২ ডিসেম্বর ভারতের কলকাতায় আরেকটি সেমিনার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে র‌্যালিটি সমাপ্ত হবে বলে ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রী। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের যে কোনো সময়ের মধ্যে চার দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী, ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হবে।

মন্ত্রী জানান, মোটর র‌্যালিতে মোট ২০টি গাড়ি রয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিরোদ চন্দ মন্ডল এর নেতৃত্বে ৬ জন একটি প্রতিনিধিদল রয়েছেন। ভারত সরকারের সহযোগিতায় মোটর র‌্যালির মূল আয়োজন করছে ভারতের কলিঙ্গ মোটরস।

উল্লেখ্য, সার্কভুক্ত এই চার দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ থেকে ৬টি রুটে যান চলাচল করতে পারবে। প্রথমে ভারতের কলকাতা দিয়ে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশর বেনাপোল দিয়ে যশোর হয়ে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছবে। দ্বিতীয় রুটটি হলো চট্টগ্রাম-ঢাকা-হাটিকামরুল-বগুড়া-রংপুর- বুড়িমারি/চেংড়াবান্ধা ভারতের শিলিগুড়ি শেষ হবে। তৃতীয় রুটটি হলো-ঢাকা-হাটিকামরুল-বগুড়া-রংপুর-বুড়িমারি/ চেংড়াবান্ধা (ভারত)-জয়গাঁও (ভারত)/ফুয়েনসলিং ভটুানের থিম্পু পৌঁছবে। চতুর্থ রুটটি হলো-ঢাকা-হাটিকামরুল-বগুড়া-রংপুর-বাংলাবান্ধা/ফুলবাড়ি হয়ে ভারতের পানি ট্যাংকি দিয়ে নেপালের কাকারভিটা হয়ে কাঠমন্ডু গিয়ে শেষ হবে। পঞ্চম রুটটি হলো-ভারতের কলকাতা-ঢাকা-সরাইল-সিলেট-তামাবিল/দাউকি (ভারত)-শিলং-গৌহাটি (ভারত)- সামদ্রুপ ঝংকার হয়ে ভুটান পৌঁছবে। শেষ রুটটি হলো- খুলনা-যশোর বেনাপোল/ পেট্রাপোল (ভারত)-কলকাতা (ভারত)।



মন্তব্য চালু নেই