জাদুঘর থেকে মগজ চুরি করে অনলাইনে বিক্রি! অতঃপর…
কীভাবে যে তার মগজে মগজ চুরির ব্যাপারটা ঢুকেছিল! মগজ ধোলাই বা অন্য কিছু নয়। একেবারে মগজ চুরি। আবার চুরির পর তা বিক্রি করে ডলারে পকেটভর্তি করা। বাহ, বেশ তো!
এমনই আজব ব্যাপার ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায়। মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মস্তিষ্ক চুরি করে তা অনলাইনে বিক্রিও করে দেন এক ব্যক্তি। চোর অবশ্য ধরা খেয়েছে। নাম ডেভিড চার্লস। বয়স ২৩। খোয়া যাওয়া মগজও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ানার রাজধানী ইন্ডিয়ানাপোলিসের একটি মেডিকেল মিউজিয়ামে এই ঘটনা ঘটে। ডেভিড চার্লস একাধিকবার ওই মিউজিয়ামে চুরি করে। প্রতিবারই লক্ষ্য ছিল কাচের জারে বিশেষভাবে সংরক্ষিত মানুষের মস্তিষ্ক। এ রকমই ৮০টি জার চুরি করে ডেভিড। সঙ্গে বেশ কিছু হিউম্যান টিস্যুও নিয়ে পালায় সে।
চুরি করা মস্তিষ্ক পরে অনলাইন শপিং পোর্টাল ই-বে’তে বিক্রি করে দেয় ডেভিড। ৬০০ ডলারের বিনিময়ে ৬ জার মস্তিষ্ক কিনে নেন সান ফ্রান্সিসকোর এক বাসিন্দা। তিনি অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে বিষয়টি জানান।
ইন্ডিয়ানাপোলিশের পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চালিয়ে ডেভিড চার্লসকে গ্রেপ্তার করে সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ। মিউজিয়ামে ডেভিডের রক্তলাগা এক টুকরো কাগজও পাওয়া গিয়েছিল।
ইন্ডিয়ানা মেডিকেল হিস্ট্রি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৮ সালে। পরে এটি মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়। এখানে চিকিৎসা-ইতিহাসের বিভিন্ন জিনিস প্রদর্শন করা হয়, বিশেষ করে মানুষের মস্তিষ্ক মেলে এখানে।
শুধু মানবমস্তিষ্কই নয়, ডেভিড এ মিউজিয়াম থেকে একটি ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম মেশিন, বেবি স্কেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে বলে আদালত জানান।
ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যান্থনি ডিয়ার বলেন, ডেভিড চার্লস তার বিরুদ্ধে আনা ছয়টি অভিযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, যার একটি ছিলো মানবমস্তিষ্ক চুরি।
ম্যারিয়ন কাউন্টি কোর্ট ডেভিড চার্লসকে এক বছর গৃহবন্দি ও দুই বছর পুলিশি নজরদারিতে থাকার শাস্তি দেয়। তার কাছ থেকে চুরি করা মস্তিষ্ক ও অন্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই