জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়ের পেট চলে জুতা সেলাই করে

একসময় ভারতের জাতীয় হকি গেমসের অসাধারণ পারফরমার ছিলেন সুভাষ চন্দ। একসময় যে হাতে গোল আটকেছেন জাতীয় স্তরের খেলায়, এখন সেই হাতই পোড়া পেটের জ্বালা মেটাতে জুতো সেলাই করেন।

ভারতের হিমাচল প্রদেশের আশির দশকের এই দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের খবর এখন আর কেউ রাখেন না। সময় যত এগিয়েছে ততই বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেছেন তিনি। নিতান্ত অসহায় অবস্থায় জুতো সেলাই করে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগান।

হিমাচলের হামিরপুর বাজারে একটা ছোটো দোকান তিনি চালান। ভারতীয় গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে বেশ শোরগোল চলছে। ভারতের জাতীয় খেলা হকি। অথচ সেই খেলার একজন দুর্দান্ত পারফরমারের এই দুর্দশা মানতে পারছেন কেউেই। গণমাধ্যমে তিনি খেদোক্তি করেছেন, ভালো খেলে লাভটা কী হল! কেউ তো মনে রাখল না, কপালে জুটল না কোনও সম্মানও।

স্মৃতির সোনালি অধ্যায় ঘাঁটতে ঘাঁটতে সুভাষ বলেন, ‘১৯৭১ সালে প্রথম হকি খেলা শুরু করেছিলাম। তখন আমি সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি। এরপর চারবার টানা স্কুল ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছিলাম।’

পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরে তিনবার কলেজ চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। গোলকিপার হিসেবে প্রতিটা ম্যাচেই যেন নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রতিভার জোরে রাজ্য স্তরে হিমাচল দলেও তিনি সুযোগ পান।

আজ তিনি দুই সন্তানের বাবা। নিজের আক্ষেপ ঢাকতে গিয়ে বলে ফেললেন, খেলা থেকে কী আর পেয়েছেন তিনি। তাই তার ছেলেরাও আর খেলার দিকে পা মাড়াতে চায় না।



মন্তব্য চালু নেই