‘জাতিসংঘ, রোহিঙ্গা গণহত্যায় কিছু একটা কর’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো বর্বর নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ আখ্যায়িত করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব আব্দুর রাজাক।

হত্যাকাণ্ড বন্ধে তিনি এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার দেশটিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ র‌্যালিতে অংশ নিয়ে নাজিব রাজাক এ আহ্বান জানান।

কুয়ালালামপুরের এক স্টেডিয়ামে র‌্যালি পরবর্তী সভায় অং সান সুচি’র সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘অং সান সুচি’র নোবেলের কাজ কী? আমরা তাকে বলতে চাই যথেষ্ঠ হয়েছে, আর না। আমরা অবশ্যই মুসলমান ও ইসলামকে রক্ষা করব।’

নাজিব রাজাক বলেন, ‘জাতিসংঘ দয়া করে এবার কিছু একটা কর। পুরো বিশ্ব বসে শুধু গণহত্যা দেখতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্য দেশগুলো বলতে পারে না, এটা আমাদের সমস্যা নয়। কারণ এটা আসলে আমাদেরই সমস্যা।’

মিযানমারে দীর্ঘদিন ধরেই মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চলে আসছে। সামরিক জান্তার সময় থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের পথে চলতে শুরু করা দেশটিতে এখনও রোহিঙ্গারা নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পায়নি।

তাদের ওপর পরিচালিত নির্যাতন এক সময় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সূত্রপাত করে। যার বলি হয়ে ২০১২ সালে প্রাণ হারায় শতাধিক রোহিঙ্গা। ঘরবাড়ি ছাড়া হয় ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া এই শরণার্থীরা বর্তমানে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বিভিন্ন ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সম্প্রতি আবারও মিয়ানমারের সেনা বাহিনী দেশটির রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। অনেককেই হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ আর লুটতরাজ এখন তো রাখাইনের মুসলিম গ্রামগুলোর প্রতিদিনের অবস্থার প্রতিচিত্র।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নাজিব রাজাক আরও বলেন, মিয়ানমার সরকারের বর্বর আচরণ বন্ধে বিশ্ব জনমতকে এক হতে হবে। নির্যাতন বন্ধে দেশটিকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

এক্ষেত্রে এশিয়ার অপর শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

নাজিব মালয়েশিয়ার মতো ইন্দোনেশিয়াতেও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেন।

এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন- আসিয়ানকেও রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নির্যাতন বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই