জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রার্থী তারা

সেই ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো নারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সংস্থার মহাসচিব পদে নিয়োগ পাননি। এবার চার নারী ও চার পুরুষ এ পদে প্রার্থী হয়েছেন। আজ চার পুরুষ প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হচ্ছে।

প্রার্থীদের পরিচয় দেওয়ার আগে আরো কিছু কথা বলা প্রয়োজন। জাতিসংঘের মহাসচিব কে হবেন, এতদিন তা নিরাপত্তা পরিষদ ঠিক করত। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক চলছিল। মহাসচিব পদে নিয়োগ কেন উন্মুক্ত হবে না? এ নিয়ে বিতর্কের পর সিদ্ধান্ত হয়- মহাসচিব নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সব সদস্য দেশ পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারবে।

আরো সিদ্ধান্ত হয়, প্রার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রস্তাবনা আকারে সবার সামনে উপস্থাপন করবেন। সেই সঙ্গে তারা সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। প্রত্যেক প্রার্থী এ বাবদ দুই ঘণ্টা সময় পাবেন। এ প্রক্রিয়া চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রার্থীরা যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন।

ক্ষমতা ও সম্মানের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুদরের চাকরির তালিকায় শীর্ষে আছে জাতিসংঘের মহাসচিবের পদ। তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স ও রাশিয়া, যারা জাতিসংঘেরও স্থায়ী সদস্য, এখনো তাদের হাতেই মূল ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মহাসচিব নির্বাচন প্রক্রিয়ায়ও তাদের ভেটো ক্ষমতা আছে। সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মহাসচিব পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। এ বছরের শেষে বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। তারপর দায়িত্বে আসবেন নতুন মহাসচিব।

এবার দেখে নেওয়া যাক, মহাসচিব পদের চার পুরুষ প্রার্থী কে কে-

অ্যানটোনিও ডি অলিভেইরা গুটেরেস
জন্ম : ৩০ এপ্রিল, ১৯৪৯ সাল, লিসবন, পর্তুগাল।
বয়স : ৬৬ বছর।
সর্বোচ্চ অর্জন : ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের ১১৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল পার্টির প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষা : ইউনিভার্সিটি অব লিসবনের সুপেরিয়র টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।

ড্যানিলো টার্ক
জন্ম : ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাল, মারিবোর, যুগোস্লাভিয়া (বর্তমান স্লোভেনিয়া)।
বয়স : ৬৪ বছর।
সর্বোচ্চ অর্জন : ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিব ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে নিযুক্ত স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
শিক্ষা : নিউ ইয়র্কে কলাম্বিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।

ইগর লুকসিক
জন্ম : ১৪ জুন, ১৯৭৬ সাল, বার শহর, যুগোস্লাভিয়া (বর্তমান মন্টিনেগ্রো)।
বয়স : ৩৯ বছর।
সর্বোচ্চ অর্জন : ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মন্টিনেগ্রোর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষা : ইউনিভার্সিটি অব মন্টিনেগ্রো থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।

ড. কেরিম
জন্ম : ১২ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সাল, স্কোপজে, যুগোস্লাভিয়া (বর্তমান মেসিডোনিয়া)
বয়স : ৬৭ বছর।
সর্বোচ্চ অর্জন : ২০০৭ থেকে ২০০৮ সালের মেয়াদে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০১ পর্যন্ত মেসিডোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
শিক্ষা : ইউনিভার্সিটি অব বেলগ্রেড থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।



মন্তব্য চালু নেই