জরুরি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মুম্বাই বিমানবন্দর
মোটেও নিরাপদ নয় ব্যস্ততম মুম্বাই বিমানবন্দর। শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কতটুকু নিরাপদ তা জানতে একটি বিমানে ভুয়া আগুন লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেই উঠে আসে নিরাপত্তার ফাঁক ফোঁকড়। বৃহস্পতিবার ব্ল্যাক প্যান্থার নামে এক বিমানে আগুন লাগার মহড়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়।
এই মহড়ার পর উঠে আসে বিমানবন্দরের জরুরী সমস্যাগুলিও। ব্ল্যাক প্যান্থার নামের ওই বিমানে ১৭০ জন ডামি যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৮ জনই আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
সিআইএসএফ-এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মহড়ার পর বোঝা গেল বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলে বিমানবন্দরের সব বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। প্রচুর সমস্যা ধরা পড়ল এই মহড়ায়।’
বিমানবন্দরের এই ব্যর্থতায় সাবেক বিমান চালক ও বিমান বিশেষজ্ঞ বিপুল সাক্সেনা বলেন, ‘আমি খুবই চিন্তিত মুম্বাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে। বাস্তবে যদি কোনও জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয় আদৌ কী বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা তা সামাল দিতে পারবে?’
বিমান সংস্থা ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কৃত্রিমভাবে বিমান বিপর্যয় ঘটানো হয়। এই মহড়ায় মুম্বাই বিমানবন্দরের বিভিন্ন নিরাপত্তা বিভাগ, টার্মিনালস, এয়ার সাইড অপারেশনস, ইঞ্জিনিয়ার, নিরাপত্তা ও চিকিৎসা পরিষেবা সকলেই এই মহড়ায় তাদের দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শুধু তাই নয়, এই মহড়ায় মুম্বাইয়ের ১০টি হাসপাতাল, ১৬টি অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি সংগঠন-অভিবাসন, কাস্টম, সিআইএসএফ, পুলিশ ও বির্পযয় মোকাবিলা দফতরও অংশ নেয়। ৮শ স্বেচ্ছাসেবক এই মহড়াতে আহত যাত্রী, বিমান কর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেন।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংগঠন ও ডিজিসিএ যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি বিমানবন্দরে দু বছরে একবার এ ধরনের মহড়া হবে। যাতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার বিষয়টি বোঝা যায়।
মন্তব্য চালু নেই