জন্ম, মৃত্যু আর পুনর্জন্ম সংক্রান্ত ৭টি তথ্য যা জানলে গায়ে কাঁটা দেবে

শুধু হিন্দু ধর্ম নয়, বৌদ্ধ ধর্মেও রয়েছে পুনর্জন্মের ধারণা। প্রাচীন ইজিপ্সীয় সংস্কৃতিতেও পুনর্জন্ম সংক্রান্ত বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। সেই কারণেই মৃতদেহকে মমি করে রাখা হত। হিন্দু পৌরাণিক শাস্ত্রে পুনর্জন্মের সব থেকে প্রখ্যাত নিদর্শন স্বয়ং বিষ্ণুর দশ অবতারের কাহিনি। পৃথিবীকে পাপ ও কলুষ মুক্ত করতে ধরাধামে ভিন্ন ভিন্ন রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বিষ্ণু। এখানে রইল জন্ম, মৃত্যু আর পুনর্জন্ম সংক্রান্ত ৭টি অবাক করা তথ্য—

১. হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে আত্মা অবিনশ্বর। মৃত্যুর পর এক দেহ ছেড়ে গিয়ে পুনর্জন্মের সময়ে আর এক দেহে প্রবেশ করে।

২. যদি অপরিতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মৃত্যু হয় কোনও মানুষের তাহলে সেই মানুষের আত্মা প্রেতে পরিণত হয়।

৩. হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে মানবদেহকে নশ্বর মনে করা হয়। এই কারণেই মৃতদেহ দাহ করার সময়ে আঘাত করা হয় শবদেহের মাথায়। মনে করা হয়, দেহটি বিকৃত হয়ে গেলে মৃত্যুর পর আর সেই দেহের প্রতি কোনও মায়া থাকবে না আত্মাটির।

৪. যে কোনও আত্মা মানবরূপ ধারণ করে জন্মগ্রহণ করার সুযোগ পায় পরপর সাতবার। এই সাতটি জন্মে ভাল বা খারাপ কাজের মাধ্যমে সে নিজের নিয়তি নির্ধারণ করার সুযোগ পায়।

৫. মৃত্যু‌র পরে পরেই একটি আত্মা পুনর্জন্ম লাভ করে না। বেশ কয়েক বছর পর যখন পুনর্জন্মের অনুকূল অবস্থা তৈরি হয় তখনই সে পুনর্জন্ম প্রাপ্ত হয়।

৬. কোনও কোনও শাস্ত্র অনুসারে, মানুষের পূর্বজন্মের যাবতীয় স্মৃতি নাকি আত্মার মনে সঞ্চিত থাকে। বিশেষ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা সেই স্মৃতিকে মনে আনতে পারেন। বাকিরা পারেন না। অর্থাৎ এই তত্ত্ব অনুসারে কোনও মানুষের মনে একেবারে বিশ্ব-সৃষ্টির সময়কার কথাও মনে থেকে যায়।

৭. কপালের মধ্যস্থলে অবস্থিত মানুষের তৃতীয় নয়ন। যতক্ষণ মানুষ সংসারে নিমজ্জিত থাকে এবং পুনর্জন্মের ঘেরাটোপ থেকে তার মুক্তি না মেলে ততক্ষণ পর্যন্ত এই তৃতীয় নয়ন সুপ্ত থাকে। যখন পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পায় আত্মা এবং যখন ব্রহ্মের সঙ্গে তার মিলন ঘটে, তখন তার তৃতীয় নয়ন উন্মোচিত হয়।এবেলা



মন্তব্য চালু নেই