জঙ্গি অভিযানকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে আজিমপুর

‘স্যার, আমার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট। এই সামনের গলিতে আমার বাসা। দয়া করে গাড়িটা যাওয়ার অনুমতি দেন।’ বিজিবি তিন নম্বর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন পল্টন লাইনের বাসিন্দা এক যুবক পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারের কাছে এভাবেই গর্ভবতী স্ত্রীকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে অনুনয় বিনয় করছিলেন।

‘পুলিশ কর্মকর্তার সাফ জবাব, ‘উপরের নির্দেশ আছে। গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না। হেঁটে চলে যান।’ কেন যেতে দিবেন না তা তো বলেন, এ কথা বলতেই রাগান্বিত কণ্ঠে সামনে থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ দৃশ্য আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার। বিজিবি তিন নম্বর গেটের সামনে জিন্স ও রঙ্গিন টি শার্ট পরিহিত পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারসহ গোটা বিশেক পুলিশের কয়েকজন সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন। নিউমার্কেট থেকে বিজিবি তিন নম্বর গেট হয়ে আজিমপুর নতুন পল্টন লাইনে যাওয়ার মোটরসাইকেল, মোটরগাড়ি ও পিকআপ ভ্যানসহ সব যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়।

আজিমপুরে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় এ রাস্তায় চলাচলকারী শত শত মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। শুধু নতুন পল্টনবাসীই নয়, আজিমপুর পিলখানা ২ নম্বর গেটের সামনে জঙ্গি অভিযান পরিচালনাকালে আজিমপুর কবরস্থান, শেখ সাহেব বাজার, নবাবগঞ্জসহ আশেপাশের রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

রাত ১০টায় পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, অভিযানকালে এক জঙ্গি নিহত ও আহত অবস্থায় তিন নারী জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট পরিচালিত ওই অভিযানে পুলিশের কয়েজনজন সদস্যও আহত হয়।

৪০, নতুন পল্টন লাইন ইরাকি মাঠের বাসিন্দা জনৈক এক ভদ্রলোক তার ছেলেকে সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকায় গরু কিনে বিজিবি তিন নম্বর গেটের সামনে আসলে নিরাপত্তার কথা বলে পিকআপ ভ্যান আটকে দেয়া হয়।

অনেকক্ষণ অনুনয় বিনয় করেও যেতে না দেয়ায় ছেলের পীড়াপীড়িতে গরুকে ভ্যান থেকে নামিয়ে হাটিয়ে বাসায় রওনা হন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযানের কারণে অনেকগুলো মোটরচালিত যানবাহনকে বিজিবি তিন নম্বর গেটের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।



মন্তব্য চালু নেই