জঙ্গিদের আর দাঁড়ানোর শক্তি নেই : আইজিপি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে জঙ্গিদের সাংগঠনিক ক্ষমতা ভেঙে পড়েছে বলে মনে করেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। এখন যে অবস্থা তাতে জঙ্গিরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তিনি মনে করেন না।
রবিবার দুপুরে বরিশাল বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বা আইজিপি।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ ছড়ায়। তবে পুলিশের পাল্টা অভিযানে এই হামলায় নাটের গুরু হিসেবে চিহ্নিত তামীম চৌধুরীসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতায় ‘জড়িত’ নব্য জেএমবির ৩০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়। এরপর থেকে জঙ্গিদের আর তেমন কোনো তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি।
আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গি তৎপড়তা যেটুকু ছিলো, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আমরা অভিযান চালিয়েছি। এখন তাদের দাঁড়ানোর শক্তি নেই।’ পুলিশ প্রধান বলেন, ‘এখন দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি অতীতের চেয়ে অনেক ভালো। তারা যাতে আর দাঁড়াতে না পারে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তামিম চৌধুরীকে বাংলাদেশে আইএসের প্রধান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘তামিম চৌধুরীর বিষয়টি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমি দেখেছি। তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে আইএস এর কথায় অভিযান চালিয়েছে কিনা সেটা তদন্ত না করে বলতে পারবো না।’ তিনি বলেন, ‘তামিম চৌধুরী জীবিত থাকলে তাকে জিজ্ঞাসা করে জানা যেতো। তবুও তদন্ত করে কোনো সূত্র পেলে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বলা যাবে।’
বিভিন্ন অঞ্চলে চুরি-ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া আছে বলেও জানান আইজিপি। বলেন, ‘পুলিশের কমিশনার, এসপিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া আছে যেন ডাকাতি-চুরি অর্থাৎ যে ক্রাইমগুলো মানুষের মধ্য উৎকন্ঠার সৃষ্টি করে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আর যেগুলো হয়ে গেছে সেগুলো শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে সেই তদারকি অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
আইজিপি বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের অপরাধ বা অপরাধীর সংখ্যা বেড়ে গেছে এমন নয়। তবে নারী নির্যাতনের মামলা বেশি বেশি হচ্ছে। কেন বেশি বেশি হচ্ছে, এগুলো অনেক সময় মিথ্যেও হয়, অন্যকে ফাঁসানোর জন্য যাতে এই আইন অপব্যবহার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
এসময় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হোসেন, বরিশালে মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমিন, বরিশালের পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান, বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য চালু নেই