জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতির কাছে ক্ষমা চাইলো হামলাকারীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের প্রতিনিধি কাজী মোবারক হোসেনের কাছে ক্ষমা চেয়েছে হামলাকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে দৈনিক কালের কন্ঠের জবি প্রতিনিধি জসিম রেজা, প্রথম আলোর মুসা আহমেদ, সমকালের আল আমিন, নয়া দিগন্তের সুজাউল ইসলাম বাবু হামলার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে মঙ্গলবার দুপুরে মোবারক হোসেনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
২০১৪ সালের ২৪ আগষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন সহ অন্যান্য সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল তারা। এবিষয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাঝোতা বৈঠকে করেন।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মোবারক হোসেন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের মনিরুজ্জামান তুফান, সকালের খবরের তানভীর রায়হান গুরুতর আহত হয়েছে। আমি নিজে দেখেছি মোবারকের মাথায় ও ঠোটে অনেক সেলাই লেগেছে। তুফানের অবস্থা আরো সিরিয়াস ছিল।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: সেলিম ভুইয়া বলেন, কাজী মোবারক হোসেনসহ অন্যান্যদের উপর ভয়ংকর ভাবে হামলা করা হয়েছে। এটা কল্পনা করা যায় না।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, আমরা উভয়পক্ষের মধ্যে সমাঝোতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজী মোবারক হোসেনসহ অন্যান্যরা যে নির্মম হামলার শিকার হয়েছেন তাতে তারা যৌক্তিকভাবেই এ ঘটনার বিচার চেয়েছে। এটার বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কিন্তু যেহেতু তারা শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক তাই এ সমাঝোতা বৈঠক।
বৈঠকে জসিম রেজা, মুসা আহমেদ, আল আমিন ও সুজাউল ইসলাম কাজী মোবারক হোসেনের কাছে ক্ষমা চান। এসময় আহত সাংবাদিকরা এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এ ধরণের হামলার ঘটনা ভবিষৎ এ ঠেকাতে কার্যকর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বলেন, যা ঘটেছে তা তো দৃশ্যমান সত্য। চাইলে তাদের বহিষ্কার কিংবা জরিমানা করা যেতে পারে। কিন্তু হামলাকারীদের কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই নয়। তাদের বিরুদ্ধে কি করব আমরা? তাই সমাঝোতার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে কাজী মোবারক হোসেন তাদের ক্ষমা করে দেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজী মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে আগামী তিনমাসের মধ্যে সাংবাদিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত প্রদান করে। এছাড়া উভয়পক্ষের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
মন্তব্য চালু নেই