ছুটি শেষ, পুরনো চেহারায় রাজধানী
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানী ঢাকা ছিল অপরিচিত একটা শহর। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে ছিল না কোনো কর্মব্যস্ততা। ছিল না কোনো যানজট। ফুটপাতেও ছিল না পথচারীদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের ছুটির পর কর্মব্যস্ত মানুষ আবার ফিরে এসেছেন। রাজধানীও ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা রূপ। রাজধানী হয়ে উঠেছে কর্মমুখর।
গত রবিবার ছিল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। প্রথম কর্মদিবসেও রাজধানী অনেকটা যানজটমুক্ত ছিল। অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ছুটি নেয়ায় তাদের আসতে দেরি হয়। অতিরিক্ত ছুটি ভোগ শেষে সবাই কর্মস্থলে ফিরে আসায় যানজট ফিরে পেয়েছে তার পুরনো চেহারা।
আজ রবিবার রাজধানীর কয়েকটি সড়কে গিয়ে তীব্র যানজট দেখা গেছে। মূল সড়কের পাশাপাশি প্রতিটি অলিতে গলিতেও যানজটের ভয়াবহতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি সড়কে দেখা গেছে গাড়ির লম্বা সারি। এর ফলে অফিসগামী মানুষরা পড়েছেন বিপাকে।
বিশেষ করে ভিআইপি রোড, মগবাজার, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর রোড, শ্যাওড়াপাড়া, মহাখালী, এয়ারপোর্ট রোড, বনানী, কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত ছিল যানজট।
এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি, যিনি মতিঝিলে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার বাসা মিরপুরে। প্রতিদিন তাকে অফিস করতে মতিঝিলে যেতে হয়। তিনি জানালেন, মিরপুর থেকে মতিঝিলে আসতে তার সময় লেগেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। তার মতো এভাবে আরও অনেকেই যানজটের কবলে পড়ে হারাচ্ছেন মূল্যবান সময়।
যানজটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুলতান থাকেন সাতরাস্তায়। তিনি জানালেন, সাতরাস্তা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে তারা দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি জানালেন ঈদের পরে আজকের অনেক বেশি যানজট পড়ছে।
মহাখালী থেকে ফার্মগেট যাওয়ার সময় ভোগান্তিতে পড়েন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আবুল মিয়া। তিনি বলেন, অসহনীয় যানজটে চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়েছে। অন্যান্য দিন যে পথ যেতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগে, আজ তা পেরুতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। ট্রাফিক পুলিশ যানজটের নিয়ন্ত্রণ করতে না পেয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকাও পালন করে। ঢাকা শহরের অসহনীয় এই যানজটের অবসান কবে হবে তা কেউ জানে না।
তবে ট্রাফিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর আজকের একটু বেশি যানজট। তারা পরিস্থিতির উত্তরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মন্তব্য চালু নেই