ছুটি লম্বা, রাতেই ঢাকা ছেড়েছে লাখো মানুষ
ঈদের আনন্দ পরিবারের সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে নগরবাসী। শুক্রবার সরকারি ছুটি হওয়ায় গেল রাতেই কয়েক লাখো মানুষ রওনা হয়েছেন বাড়ি ফেরার উদ্দেশে। এদের মধ্যে অন্তত ৩ লাখ মানুষ সদরঘাট লঞ্চটার্মিনাল দিয়ে এবং অন্যরা গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল দিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন।
বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগে শেষ সরকারি কার্যদিবস। ঈদের আগে ও পরে সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটি টানা ৯ দিন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ব্যস্ত নগরী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে লাখো মানুষ। প্রাণের শহর ঢাকাকে ফাঁকা করে বাস-লঞ্চ-ট্রেনে ছুটছে সবাই।
এদিকে যানজট ছাড়া নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষগুলোর যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গাবতলী-আবদুল্লাহপুর-বাবুবাজার ব্রিজসহ রাজধানীর প্রবেশমুখগুলো যেকোনো মূ্ল্যে যানজটমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
গত এক সপ্তাহ রাজধানী বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে যারা এই ভিড় এড়িয়ে একটু শান্তি যাত্রা নিশ্চিত করতে চান তারা ইতিমধ্যেই নগরী ছেড়েছেন।
নৌ পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ছুটি হলে চাপ বাড়বে বলে জানান তিনি।
নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘাট এলাকায় প্রচুর পুলিশ-র্যাব মোতায়েন রয়েছে। পকেটমার, ছিনতাইকারী ও মলম পার্টির হাতে কেউ যাতে আক্রান্ত না হন সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।’
মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিউটিরত সার্জেট আরিফুর রহমান বলেন, ‘সারাদিন স্বাভাবিক যাত্রীদের চাপ ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে।’
এদিকে টাকা একটু বেশি লাগলেও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, বরিশাল, সৈয়দপুর, ইশ্বরদী, সিলেট কক্সবাজারসহ যেসব জেলায় বিমানবন্দর রয়েছে, সেসব জেলায় প্রচুর লোক আকাশপথে ঢাকা ছাড়বেন।
মন্তব্য চালু নেই