ছাত্রীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচরে পানিতে নামাল শিক্ষক! (দেখুন ভিডিও)

শিক্ষক বাবার মত। একজন শিক্ষক বাবার মত ছাত্রছাত্রীদের আদর ও শাসন দুটোই করার অধিকার রাখে। শিক্ষকের আদর এবং শাসন দুটোর সমন্বয়েই একজন শিক্ষার্থী মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠে। কথায় আছে শিক্ষকের বেতের মাথায় বিদ্যা।
শিক্ষকের হাতের শাসন ছাড়া কোন শিক্ষার্থী একজন ভাল মানুষ হতে পারে না। কিন্তু সেই শাসনেরও একটা সীমা আছে। আর এই সীমা যখন অতিক্রম হয়ে যায় তখন তা আর শাসন থাকে না হয়ে যায় শোষন।আমরা প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক দ্বারা নির্মমভাবে শিক্ষার্থী নির্যাতনের কথা শুনতে পাই। অনেক সময় এই নিষ্ঠুরতার হার সীমা ছাড়িয়ে যায়। এমনই এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এক শিক্ষক।
যিনি ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে পানিতে নামানোর চেষ্ঠা করেন। অপর এক শিক্ষার্থী এই ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে তা নিয়ে সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে।ঘটনাটি ঘটেছে স্টকহোমের এরিসন হাইস্কুলে। প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, ১৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী স্কুলের সুইমিং ক্লাসে পুলের পানিতে নামতে না চাইলে স্কুলের সাতর শিখানোর শিক্ষক ড্যানি পিটারসন তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচরে পানিতে নামানোর চেষ্ঠা করেন। ছাত্রীটি প্রানপনে শিক্ষকের হাত থেকে বাচার চেষ্টা করলেও নাছোড়বান্দা শিক্ষক তাকে জোরজবরদস্তি করতেই থাকে।
অন্যান্য ছাত্রীরাও তাকে শিক্ষকের এই নির্যাতন থেকে বাচাতে চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হয়। ওই ছাত্রীটি মূলত তার চুল নষ্ট হয়ে যাবে সেই কারনে পানিতে নামতে চায়নি। যদিও এর বিরুদ্ধে শিক্ষক অন্য শাস্তি দিতে পারতেন কিন্তু এভাবে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচরে পানিতে নামানো কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। যদিও ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্থ করা হয়েছে।
ভিডিওটি দেখুন:
https://www.youtube.com/watch?v=arLRJlCYeDM
































মন্তব্য চালু নেই