চ্যালেঞ্জের মুখে ‘স্বৈরাচারি’ কেজরিওয়াল

ক্রমশ চওড়া হচ্ছে আম আদমি পার্টির (এএপি) অন্দরের ফাটল। আগামীকাল দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠক। তার আগে দলের আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘স্বৈরাচারি’ মনোভাব নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুললেন দলের দুই শীর্ষ নেতা প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব। ফলে দল ভাঙনের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে কেজরিওয়াল।

যদিও দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বিদ্রোহী ওই দুই নেতাকে দলের সর্ব্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে আগেই ছাটাই করা হয়েছে দল থেকে। কিন্তু আগামীকালের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে যেভাবে কেজরিওয়ালকে শনিবার আক্রমণ শানিয়েছেন দুই নেতা, তাতে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছে দলটি।

সূত্রের খবর, কমিটির পর এবার ওই দুই নেতাকে এখন দল থেকে দ্রুত ছেঁটে ফেলতে মরিয়া এএপি নেতৃত্ব।

এ বিতর্কের মধ্যেই শনিবার রাতে একটি অডিও টেপে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দলীয় নেতা উমেশ সিংহের কথোপকথন সামনে আসায় নতুন করে অস্বস্তিতে পড়ে দলটি।

ওই অডিও টেপে বিদ্রোহীদের সম্পর্কে কেজরিওয়ালকে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করতে শোনা যাওয়ায় নতুন অস্ত্র হাতে পেয়ে যান তার বিরোধীরা।

এদিকে, আগামীকালের বৈঠকে কেজরিওয়াল-বিরোধিতা কীভাবে সামলানো হবে, তা ঠিক করতে আজ রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকে বসেন মণীশ সিসৌদিয়া, গোপাল রাই, সঞ্জয় সিংহের মতো কেজরিওয়াল-ঘনিষ্ঠরা।

যোগেন্দ্রের অভিযোগ, ‘প্রশাসনকে স্বচ্ছ করা ও প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের বাইরে গিয়ে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক একটি দল গড়াই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। সেই কারণে আম আদমি পার্টির গঠন হয়। আমাদের প্রতি মানুষের অনেক আশা রয়েছে। কিন্তু দলে যা চলছে, তাতে আমার মতো অনেকেই দুঃখ পাচ্ছেন।’ দলে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তবে সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ এএপি নেতা সঞ্জয় সিংহ গোটা ঘটনার পিছনে বিরোধীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘যোগেন্দ্রদের পাঁচটি অভিযোগ ছিল। দল সেই বিষয়গুলির সমাধানের জন্য তৎপর ছিল। কিন্তু হঠাৎ কোনো কারণে আজ দুজনে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। কী এমন কারণ ঘটল যে ওই নেতারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’

ধারণা করা হচ্ছে, নীতি নির্ধারণী কমিটির পর এবার থেকেই প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবকে বহিষ্কার করা হতে পারে। যদি এমনটা হয় তাহলে দিল্লিতে তাদের নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক দল দেখা দিতে পারে। আর এর মাধ্যমে এএপিতে নতুন করে শুরু হতে পারে দ্বন্দ্ব।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দ বাজার।



মন্তব্য চালু নেই