চুক্তির শর্ত মানার অঙ্গীকার রুহানির

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ঐতিহাসিক’ সমঝোতা চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

জাতির উদ্দেশে শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রুহানি এই অঙ্গীকার করেন।

ওই ভাষণে রুহানি বলেন, ‘বিশ্বের অবশ্যই জানা দরকার যে, আমাদের ধোঁকাবাজি করার কোনো ইচ্ছাই নেই।’

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বলেও ওই ভাষণে ফের দাবি করেন রুহানি।

ইরান ভণ্ড রাষ্ট্র নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছয় বিশ্বশক্তি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছলেও ইরানের মনোভাব একই থাকবে ‘

তিনি বলেন, ‘অন্যপক্ষ যদি প্রতিশ্রুতি মেনে চলে, তাহলে ইরানও প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। তবে অন্যপক্ষ যদি কোনোদিন ভিন্নপথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ইরানও অন্য সিদ্ধান্ত নেবে।’

এ সময় রুহানি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্ব আজ ইরানের নিজ দেশের মাটিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি গ্রহণ করেছে এবং বুঝতে পেরেছে এটা কারও জন্য হুমকি নয়।’

দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি একটি খসড়া সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছায়।

ওই দিনই এক যৌথ বিবৃতিতে এই সমঝোতাকে চুক্তি স্বাক্ষরের ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিদেশী পলিসি প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানীর আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে ইইউ।

আলোচনায় পরমাণু সমৃদ্ধকরণ হ্রাসে সম্মত হয়েছে ইরান। এর বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে উঠিয়ে নেওয়া হবে।

সুইজারল্যান্ডের সুসানে শহরে টানা আট দিন আলোচনা শেষে এ সমঝোতায় পৌঁছায় উভয়পক্ষ। এর আগে ৩১ মার্চ আলোচনার ডেডলাইন পার হয়।

ঐক্যমতের পর এটিকে ‘ঐতিহাসিক সমঝোতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এটিকে ‘উভয়পক্ষের বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
সূত্র : বিবিসি



মন্তব্য চালু নেই