চীন সম্পর্কে অজানা ১১ টি বিস্ময়কর তথ্য যা আপনার জানার বাইরে
প্রযুক্তির কল্যাণে সমগ্র বিশ্বের সকল তথ্য এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। কিন্তু তবুও এখনও অনেক অত্যাশ্চার্য ঘটনাই আমাদের অজানা থেকে যায়। বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাশালী দেশগুলোর কিছু তথ্য হয়তো আমরা রাখি। তবে তার বাইরেও অজানা থেকে যায় কিছু বিস্ময়কর তথ্য। এই লেখাটিতে চীনের এমন কিছু অদ্ভুত ও আশ্চর্যজনক তথ্য উল্লেখ করা হল যা হয়তো আপনার জানার বাইরে।
১. চীনারা বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য রাজহাঁস পোষে
জনশ্রুতি আছে, রাজহাঁসের শ্রবণ ক্ষমতা অসাধারণ এবং তারা সাহসী। স্থানীয়দের মতে, তারা কুকুর থেকেও দক্ষ।
২. প্রত্যেক বছর চীনে মোট গর্ভপাতের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ।
হিসাব করলে দেখা্ যায়, দিনপ্রতি তার সংখ্যা ৫৩ হাজার।
৩. বেইজিংয়ের ট্রাফিক জ্যামে প্রায় ১১ লাখ কোটি ডলার লোকসান হয়।
সময়ের অপচয়, গ্যাস ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ সব মিলিয়ে এই লোকসানের পরিমাণ ৭০ লাখ কোটি ইয়ান।
৪. কোন মানুষের বেইজিংয়ের একদিনের বায়ু দূষণে থাকা একটি সিগারেটের প্যাকেট ভোগ করার সমান
বেইজিংয়ের এক দিনের বায়ু দূষণ ২২ টি সিগারেটের সমান।
৫. টয়লেট টিস্যু চীনে আবিষ্কৃত। কিন্তু আবিষ্কারের প্রথম দিকে তা শুধু সম্রাটরাই ব্যবহার করতে পারত।
৬. ফরচুন কুকি কিন্তু চীনের ঐতিহ্যগত খাবার নয়
এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের এক খাদ্যকর্মী আবিষ্কার করেন।
৭. অবিবাহিত বালকের মূত্র দিয়ে সিদ্ধ করা ডিমকে চীনে এখনও উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তারা চীনের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মূত্র সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের উর্ধ্বের বাচ্চার মূত্রকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাদের ধারণা এতে স্বাস্থ্যগত সুবধা আছে। যদিও ডাক্তাররা দ্বিমত পোষণ করেছেন।
৮. সামরিক কর্মকর্তাদের স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য কৌশলগতভাবে এই পিন বসানো হয়।
৯. শুধু মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী পথচারীদের জন্য রাস্তায় আলাদা পথ আছে।
চিহ্ন সম্বলিত এই রাস্তাটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী পথচারীদের জন্য। আর চিহ্ন থাকা এই রাস্তাগুলো কিছু বিবরণও দেয়।
১০. বিখ্যাত কার্টুন চলচ্চিত্র অ্যালাইস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড চীনে নিষিদ্ধ করা হয়।
এটা ১৯৩১ সালের ঘটনা। চলচ্চিত্রের পশুগুলো মানুষের ভাষা ব্যবহার করার কারণেই এটি নিষিদ্ধ করা হয়।
১১. কুচকাওয়াজের সময় পুলিশদের হাত গুলোকে একই উচ্চতায় রাখার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়
শুধু কুচকাওয়াজের জন্যই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গুরুতর কাজে কি চরম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়? একবার ভাবুন।
মন্তব্য চালু নেই