চীনে ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ৯৮, আহত ৮০০
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে অন্তত ৯৮ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৮০০ জন।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে জিয়াংসু প্রদেশের ইয়েনচেন শহরের উপকণ্ঠে এই ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানে। একই সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রসহ ঝড় ছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
শিনহুয়ার তথ্য অনুয়ায়ী, শহরের উপকণ্ঠে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার। এই ঝড়ে বাড়িঘর, কারখানা, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন, গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ সবকিছু ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গিয়েছে। এ সময় অন্তত ৯৮ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো ৮০০ জন। এর মধ্যে ২০০ জনের অবস্থা গুরুতর।
শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে আহতদের উদ্ধার ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে। এরই মধ্যে উদ্ধারকারী দল খাদ্যদ্রব্য ও পানি, ১ হাজার তাবু, ২ হাজার ভ্রাম্যমাণ বিছানা (ফোল্ডিং বেড) ও ১০ সেট ফ্লাডলাইট সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া বেইজিং থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শহরের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সিসিটিভি নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আবারো ভারী বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
শি লিশিয়ান নামে একজন স্থাণীয় নাগরিক শিনহুয়াকে বলেন, ‘মনে হচ্ছিল আজই (বৃহস্পতিবার) পৃথিবীর শেষ দিন। আমি শুনতে পাচ্ছিলাম ঝড়ের বিকট শব্দ এবং জানালা লাগানোর জন্য দৌড়ে ওপরতলায় যাচ্ছিলাম। যখন আমি সিঁড়ির ওপরের ধাপে পৌঁছায়, তখন বুম করে একটি শব্দ শুনলাম এবং দেখলাম জানালাসহ দেয়ালটি পড়ে গেল।’
এদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চলতি সপ্তাহে চীনের বিভিন্ন অংশে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণে বন্যার কারণে ২২ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ লোক বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই