চার্লি হেবদোয় হামলাকারীদের ঘিরে ফেলেছে পুলিশ

ফ্রান্সের ব্যঙ্গ ম্যাগাজিন চার্লি হেবদোয় হামলাকারী দুই বন্দুকধারীকে আটক করতে প্যারিসের উত্তর-পূর্বের এক শহরে একটি ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। শুক্রবার দাম্মারতিন এন গলে শহরের একটি ছাপাখানায় আশ্রয় নেয় ওেই বন্দুকধারীরা । তারা ওই ভবনেই একজনকে জিম্মি করে রেখেছে ।
এর আগে পুলিশ প্যারিসমুখী দ্রুতগতির একটি গাড়িকে ধাওয়া করে। এ সময় গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়। পরে বন্দুকধারীরা আরও একটি গাড়ি ছিনতাই করে প্যারিসের উত্তর-পূর্বে দাম্মারতিন এন গলের দিকে যায়।
গাড়ির মালিক একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, তিনি ছিনতাকারীদের চিনতে পেরেছেন। এরা চার্লি হেবদোয় হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ভাই সাইদ ও শেরিফ। তাদের একজনের কাছে মেশিন গান ও আরেকজনের কাছে একটি বন্দুক ছিল যার মাথায় গ্রেনেড সদৃশ বস্তু ছিল।
পরে বন্দুকধারীরা শিল্প শহর দাম্মারতিন এন গলের একটি ভবনে একজন জিম্মিকে সঙ্গে নিয়ে ঢুকে পড়ে। ভবনটিতে একটি ছাপাখানা রয়েছে। খবর পাওয়ার পর
পুলিশ এবং সন্ত্রাস বিরোধী বাহিনী প্যারিসে ঢোকার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। নগর জুড়ে চক্কর কাটছে পুলিশের তিনটি হেলিকপ্টার। এছাড়া প্রায় কয়েক হাজার পুলিশ ভবনটি ঘিরে রেখেছে। অভিযান চলার সময়টিতে আশেপাশের লোকজনকে লাইট নিভিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।এছাড়া বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে এবং যেসব শিক্ষার্থী স্কুলে রয়েছে তাদের সেখানেই থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ইভস আলব্যারেল্লো নামে একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কমান্ড পোস্টের ভেতরে ছিলেন। বন্দুকধারীরা জানিয়েছে তারা শহীদের মতো মরতে চায়।
গত বুধবার প্যারিসে চার্লি হেবদো কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে সাংবাদিক ও পুলিশসহ মোট ১২ জনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সাইদ কাওয়াচি, শেরিফ কাওয়াচি ও হামিদ মুরাদ নামে তিনজনকে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে সাইদ ও শেরিফ আপন ভাই।
যুক্তরাষ্ট্রে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদিকদের বলেছেন, এদের মধ্যে সাইদ কৌয়াচি ইয়েমেনে আল কায়দার হয়ে কয়েকমাস প্রশিক্ষণও নিয়েছে ।
মন্তব্য চালু নেই