ঘুষ হিসেবে কর্মকর্তাদের কুমারী মেয়ে ‘উপহার’!
ঘুষ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের কুমারী মেয়ে ‘উপহার’ দিচ্ছেন চীনা ব্যবসায়ীরা! পাঠক ভড়কে গেলেন। ভড়কানোর কোনো কারণ নেই। চীনের শানসি প্রদেশের একদল ব্যবসায়ী এমন কাজেই জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
কুমারী মেয়েদের কিনতে ওই প্রদেশের স্কুলশিক্ষার্থীদের পেছনে ওই ব্যবসায়ীরা তিন লাখ ২১ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি কিছু স্কুলছাত্রী শ্লীলতাহানি ও নিপীড়নের কথা জানানোর পর বিষয়টি প্রকাশ পায়।
স্থানীয় খবরে বলা হয়, শানসি প্রদেশের প্যারামাউন্ড স্ক্রীম স্কুলের ১১ গ্রেডের ছাত্রীরা প্রথমে তাদের জুনিয়রদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে। এরপর সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যৌনকাজে বাধ্য করাতে চরম প্রহার করে তারা। এ কাজের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নেয় সিনিয়র শিক্ষার্থীরা।
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ইতিমধ্যে ওই স্কুলের সাত সিনিয়র ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে একজনের বয়স ১৬’র কম হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরো বলা হয়, ওই সাত সিনিয়র ছাত্রী তাদের পাঁচ জুনিয়রকে ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে তাদের নগ্ন ছবি তুলে রাখে। এরপর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌনকর্মে রাজি না হওয়ায় নির্মম নির্যাতন চালায় তারা। এতে একজনের কানের পর্দা ফেটে যায়। ছুরিকাঘাতও করা হয় তাদের।’
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের পিতামাতারা জানান, কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌন কাজ করতে অস্বীকৃতি জানানো তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়।
কুমারী মেয়ে সংগ্রহের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ লাখ ৯৩ হাজার ডলার নেয় এক ছাত্রী। আর অন্যরা নেয় ১ লাখ ২৮ হাজার ডলার।
খবরে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের বশে আনতে উপহার হিসেবে তাদের কাছে কুমারী মেয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেন চীনের ওই ব্যবসায়ীরা। এই মেয়ে সংগ্রহের জন্য শিক্ষার্থীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেন তারা। তবে কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে এক সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা বন্ধে স্কুল ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মন্তব্য চালু নেই