‘ঘুষ চাওয়ায়’ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন কেজরিওয়াল
আবাসন ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে নিজের মন্ত্রিসভার একজন সদস্যকে আজ শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একই সঙ্গে কেজরিওয়াল বলেছেন, দুর্নীতি প্রশ্নে তিনি কাউকে ছাড় দেবেন না; সে যদি তাঁর নিজের ছেলেও হয়।
বরখাস্ত হওয়া ওই মন্ত্রী হলেন, দিল্লির খাদ্য ও পরিবেশমন্ত্রী আসিম আহমেদ খান।
দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমার সন্তান ও মনীশ সিসোদিয়াও যদি এমন কাজ করে, তবে আমি ছাড়ব না।’
এনডিটিভির খবরে আজ বলা হয়েছে, আসিম আহমেদ খানের জায়গায় ওই দপ্তরের নতুন মন্ত্রী করা হয়েছে ইমরান হোসেনকে। আসিম আহমেদ খানকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি, পুরো ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে (সিবিআই) তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরে বলা হয়, এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে আসিম আহমেদ খানের বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কেজরিওয়াল জানান, সরকার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখেছে। দিল্লির এক আবাসন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আসিম আহমেদ খানের ঘণ্টা খানেক কথোপকথনের রেকর্ডও শোনা হয়েছে বলেও জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘জনগণ সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের বিশ্বাস করে। তাই আমরা কর্মকর্তা, এমএলএ ও মন্ত্রীদের দুর্নীতি ছেড়ে দিতে পারি না।’ তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি বা কোনো গণমাধ্যম এই দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আনেনি। তাঁর দলই স্বচ্ছতার স্বার্থে নিজের মন্ত্রীর দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরেছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এএপি সরকারে এই নিয়ে দুটি বড় পরিবর্তনের ঘটনা ঘটল। কলেজের জাল ডিগ্রি পেশের অভিযোগ মাথায় নিয়ে এ বছরের জুন মাসে এএপি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ টোমার।
আসিম আহমেদ খান একজন ব্যবসায়ী। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ টির মধ্যে ৬৭ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে এএপি। তখন আসিম আহমেদ খানকে খাদ্য ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মন্তব্য চালু নেই