গয়না উদ্ধারে কলা থেরাপি

অনিল যাদব একজন ছিঁচকে চোর। এটা সেটা হাতিয়ে তার আয় দায় খারাপ হয় না। কিন্তু সোমবার এক নারীর গলা থেকে সোনার একটি নেকলেস ছিনতাই করার পরই ঘটল নানা বিপত্তি। ঘটনাটা তাহলে খুলেই বলি।

বুধবার অনিল মুম্বাইয়ের সিয়োন এলাকায় মিসেস মায়েকারের গলা থেকে ৬৩ হাজার রুপি দামের একটি সোনার নেকলেস ছিনতাই করে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলে এলাকার লোকজন।কিছু উত্তম মধ্যম দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এসময় তারা পুলিশকে জানায়, তারা চোরকে গয়নাটি গিলে খেতে দেখেছে।

1এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তাকে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসকরা তার পাকস্থলি এক্সরে করে দেখেন, সত্যি সত্যিই তার পেটে একখানা মালা আটকে আছে। এরপরই শুরু হয় কলা থেরাপি। ১/২টা না, সবমিলিয়ে তাকে ৬০য়ের বেশি কলা খাওয়ানো হয়। এছাড়া অনিল যাদবের বায়ুদেশ দিয়ে চারবার ‘এনেমা’(সিরিঞ্জের মাধ্যমে বিশেষ তরল পদার্থ প্রয়োগ) প্রয়োগ করা হয়। অবশেষে মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে তার পেটে আটকে থাকা ২৫ গ্রাম ওজনের নেকলেসটি।

তবে গহনার মালিক এখন বলছেন তিনি এই গয়না আর ব্যবহার করবেন না। ৫২ বছরের রাজাশ্রী মায়াকার ‘মিড ডে’ পত্রিকার সংবাদদাতা সৌরভ ভাকতানিয়াকে জানিয়েছেন, তিনি মালাটা সোনার দোকানে নিয়ে যাবেন, এবং সেটা গলিয়ে নতুন গয়না তৈরি করবেন।থেরাপি নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেউ কেউ বলছেন, এসব ঝামেলার কোনো দরকার ছিল না। ওষুধের মাধ্যমে চোরের পেট থেকে আরো সহজে গয়না বের করে আনা যেত।



মন্তব্য চালু নেই